শেরপুর কারাগারে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ১২ হাজার

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০১

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবির আন্দোলনের মধ্যে শেরপুর জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত নামা ১২ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (১১ আগস্ট) জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার লিপি রানি সাহা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার শেরপুরের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে জেলা কারাগার মেরামত করতে অন্তত এক মাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা গণপূর্ত বিভাগ।

কারাগার কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত আগস্ট বিকালে কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা, রামদা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সময় তারা বন্দিদের ওয়ার্ড ভেঙে তছনছ করে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের হামলার মুখে কারারক্ষীরা অসহায় হয়ে পড়েন। সুযোগে কারাগারের ৫১৮ জন বন্দি পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা কারাগারের ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, চায়নিজ রাইফেলের ৮৬৪টি গুলি, শর্টগানের ৩৩৬টি গুলি কারাবন্দিদের জন্য মজুত করা খাদ্য সামগ্রী টাকা-পয়সা লুট করে। সেই সঙ্গে কারাগারের প্রশাসনিক ভবনসহ মূল্যবান রেকর্ডপত্র, গাড়ি বিভিন্ন স্থাপনা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে কারাগারের বিভিন্ন মালামালসহ তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা

সম্পর্কে শেরপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, কারাগার ভাঙচুরের পরে কারা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কারাগার সংস্কারের প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এক কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এরমধ্যে কিছু কাজ দ্রুত করে দেওয়া হবে। আবার কিছু কাজ করতে সময় লাগবে।

প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, কয়েদিদের থাকার সেলগুলো আগামী - দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে প্রশাসনিক ভবন, কারারক্ষীদের ব্যারাক, কারাধ্যক্ষের বাসভবন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলো সংস্কার করতে অন্তত ২০ দিন সময় লাগবে।

শেরপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বলেন, ঘটনার দিন ৫১৮ জন বন্দি পালিয়ে যায়। তবে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যাওয়া বন্দি আত্মসমর্পণের জন্য যোগাযোগ করেছে। তবে কারাগারে তাদের থাকার ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, কারাগার থেকে লুট হওয়া ৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৫টি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/পিএস)