আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরেছে লক্ষাধিক মানুষ

নোয়াখালীতে দীর্ঘ হচ্ছে বন্যা, এখনো পানিবন্দি ১৮ লাখ

প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর ৮ উপজেলা ও ৭ পৌরসভার বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে ধীরগতিতে পানি নামায় দীর্ঘ হচ্ছে বন্যা। ফলে বন্যার্তদের ভোগান্তি বাড়ছে। বন্যাকবলিত নিচু এলাকায় এখনো পানিবন্দি প্রায় ১৮ লাখ মানুষ।

এদিকে সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে কয়েক দফা বৃষ্টিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে।

স্খানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২৫ মিলিমিটার। এতে কিছু এলাকায় একটু পানি বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার ভোর থেকে জেলায় রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ রয়েছে। 

জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় এক লাখ মানুষ বাড়ি ফিরে গেছে। এখনো ১ হাজার ৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ মানুষ অবস্থান করছে। বন্যাকবলিত নিচু এলাকায় পানিবন্দি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ মানুষ। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

বন্যাকবলিতদের সহায়তায় ৩০ লাখ নগদ অর্থ ও ৮১ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে জানিয়ে জেলা প্রশাসন জানায়, তবে শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও গোখাদ্যের কোনো মজুদ নেই তাদের। 

বন্যাদুর্গত এলাকার লোকজন জানান, গত কয়েক দিনে জেলার কাঁচাপাকা বিভিন্ন উঁচু সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। তাতে বেরিয়ে এসেছে সড়কগুলোর ক্ষতচিহ্ন। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের, কাঁচা সড়কগুলো থেকে মাটি নেমে যাওয়ায় সেগুলো কয়েক ফুট নিচের দিকে নেমে গেছে। এ ছাড়া কাঁচাঘরের ভিটি থেকে সরে গেছে মাটি, যেকোনো মুহূর্তে এগুলো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। 

এদিকে জেলায় বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বন্যাকবলিত আটটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৪৭০ জন ডায়রিয়া রোগী। সাপে কাটা ৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/মোআ)