বৃহস্পতিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা: বিজিএমইএ

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

দেশের সব পোশাক কারখানা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি— বিজিএমইএ। গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল মঙ্গলবার ৩৫টি এবং আজ বুধবার ৬০টি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার মধ্যে এই ঘোষণা করা হয়। 

বুধবার বিকালে পোশাক খাতে বিরাজমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে গার্মেন্টস মালিক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিল্প পুলিশ এবং এনএসআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বিজিএমইএ নেতারা। পরে এক ব্রিফিংয়ে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত জানান সংগঠনটির সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারখানা এলাকায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ফের গার্মেন্টস চালু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা।

ব্রিফিংয়ে পোশাক কারখানায় যারা বিশৃঙ্খলা করছেন তারা বহিরাগত জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রমিক আন্দোলনে ১৬৭ টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। যদিও এ আন্দোলনে শ্রমিকদের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মাসের শুরুতে কারখানায় ঝামেলা হলেও বেতন দিতে দেরি হবে না।
 
বিজিএমইএর জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, প্রতিদিন কারখানায় শ্রমিক ঢুকছে। কিন্তু বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করছে। পুলিশ নিজেই আছে অস্থিরতার মধ্যে। আজকের ওসি জানে না কালকে কোথায় বদলি হবে। আর্মির হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই। আবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা থাকলেও তারা বর্তমানে দুর্বল। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে আজকে রাত থেকে যৌথ অভিযান শুরু হবে। এতদিন সমন্বয়ের অভাব থাকলেও স্বররাষ্ট্র উপদেষ্টার থেকে এসব বাহিনী বৈঠক করে জানিয়েছেন আজকে।


প্রসঙ্গত, বকেয়া বেতনের দাবি, চাকরি স্থায়ীকরণ, ছাঁটাই বন্ধ, নারীর সমান সংখ্যক পুরুষ কর্মী নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুর, রাজেন্দ্রপুর, ভোগড়া বাইপাসসহ বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা। এসময় আশুলিয়ার অন্তত ৬০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল থেকে জিরাবো পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের এসব কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছরের বকেয়া ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার আরএকে সিরামিক কারখানার শত শত শ্রমিক। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পাশে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন পরিবহনের হাজারও যাত্রী। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/কেএ/এমআর)