রংপুরে ৭৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে জমা ৫০টি

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৩৫

রংপুর ব্যুরো, ঢাকা টাইমস

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রংপুর জেলায় ২০০৯ সাল থেকে সর্বশেষ লাইসেন্স দেওয়া ৭৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন থানায় ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ২৪টি  অস্ত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে জমা প্রদান করা হয়নি।

রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জিয়াউর রহমান জানান, রংপুরের বিভিন্ন ব্যাংক, অস্ত্রের দোকান, সামরিক, বেসামরিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে ১৮৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে দেওয়া হয়েছে ৭৪টি।  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার শেষ দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭৪টি অস্ত্রের মধ্যে ৫০টি জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ২৪টি অস্ত্রের মধ্যে ১৮টি জমা দেওয়া হয়নি। ৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স গ্রহণ করা হলেও অস্ত্র ক্রয় করেনি লাইসেন্স গ্রহণ করা ব্যক্তি। বাকি ২ অস্ত্রের ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে।

এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা না দেওয়ায় অস্ত্রগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

জানা যায়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রংপুর জেলা প্রশাসন থেকে লাইসেন্স দেওয়া এসব বৈধ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে শর্টগান, একনলা বন্দুক, পিস্তল ও রাইফেল।

সিনিয়র সহকারী কমিশনার জিয়াউর রহমান আরও জানান, জমা দিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত অবগত করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে, কারা অস্ত্র জমা দিলেন কারা দিলেন না। এই লিস্টটা আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। এই লিস্টের প্রেক্ষিতে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে।

রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা না দেওয়ায় সব অস্ত্রই অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। যৌথবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করবে এবং ওই অস্ত্রগুলো আমরা উদ্ধার করতে পারবো বলে আশাবাদী।

গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/পিএস)