বন্যার্ত ৬৩৭১৪ পরিবারকে ত্রাণ ও ২৩৩১১ জনকে চিকিৎসা দিল বিজিবি

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

দেশের বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এখন পর্যন্ত বন্যাদুর্গত এলাকার ২ হাজার ৯১৪ জনকে উদ্ধার; ৬৩ হাজার ৭১৪টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং ২৩ হাজার ৩১১ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দিয়েছে সীমান্রক্ষী বাহিনীটি। 
বৃহস্পতিবার বাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে গত ২১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের বন্যাত্রাণ কার‌্যক্রমের জেলা-উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
বিজিবি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে ৬৩ হাজার ৭১৪টি পরিবারের মাঝে। এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ৯,৭২৮টি, পরশুরামে ৫,৮১২টি, ছাগলনাইয়ায় ৪,৯৫১টি, ফুলগাজিতে ৬,০৩৬টি, সোনাগাজীতে ৪,২৭৯টি এবং দাগনভূঁইয়ায় ৭,৭৮৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। 
অন্যদিকে, কুমিল্লার আদর্শ সদরে ৭,১০৯টি, বুড়িচংয়ে ২,০৬৪টি, নাঙ্গলকোটে ১,১৪৮টি এবং ব্রাহ্মণপাড়ায় ১,৯২৫টি; নোয়াখালী সদরে ৪৮০টি, বেগমগঞ্জে ১,২১৫টি এবং সোনাইমুড়ীতে ২০০টি; লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে ১৫০টি; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ৫০০টি; মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১,৯০০টি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়।


খাগড়াছড়ির গুইমারায় ৩৩টি, মাটিরাঙ্গায় ৪৬৭টি,  পানছড়িতে ৪১০টি, দীঘিনালায় ২৪০টি এবং রামগড়ে ১,৫৫০টি; রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ৬৪০টি, বরকলে ১৩৫টি, লংগদুতে ১০০টি এবং কাপ্তাইয়ে ৫৫২টি; বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৫০টি, চট্টগ্রামে ২০০টি, খুলনার পাইকগাছায় ৫০০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। 
এ ছাড়া বিজিবি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ফেনীর ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজ ও যশপুরে, নোয়াখালীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে এবং কুমিল্লার বুড়িচংয়ের সোনার বাংলা কলেজে ৩,৪৫৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। 
বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনী কারাগারের স্টাফ ও ৪০০ জন কারাবন্দীসহ মোট ২,২০০ জনকে রান্না করা খাবার, বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।
বিজিবির মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বন্যাদুর্গত ফেনী সদর উপজেলায় ৬,৬৪৭ জন, পরশুরামে ৩,২৬২ জন, ছাগলনাইয়ায় ২,৮২৮ জন, ফুলগাজীতে ৬৬০ জন, দাগনভূঁইয়ায় ৫৮০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়। 
কুমিল্লার আদর্শ সদরে ১,৭৫০ জন, বুড়িচংয়ে ৭০০ জন, নাঙ্গলকোটে ১,২০০ জন, চৌদ্দগ্রামে ৪৮৫ জন এবং ব্রাহ্মণপাড়ায় ৭৮৫ জন; নোয়াখালীর সেনবাগে ৮২৫ জন এবং সোনাইমুড়িতে ৫৫০ জন; মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৯৬০ জন চিকিৎসা পান বিজিবির ক্যাম্পেইন থেকে।
খাগড়াছড়ির খেদাছড়াতে ২৫০ জন, দীঘিনালায় ১৯৭ জন এবং রামগড়ে ৪০০ জন; রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ৬৯২ জন এবং বরকলে ৪০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়। 
এছাড়াও ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ৫০০ প্যাকেট প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 
বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া নাজমুল নামের দেড় বছর বয়সী একজন মুমূর্ষু শিশুকে উদ্ধার করে বিজিবির হেলিকপ্টারে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাদের পরশুরামে পৌঁছে দেওয়া হয়।
কুমিল্লার বিবির বাজারের অরণ্যপুরে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিলে বিজিবির সদস্যরা স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িবাঁধ মেরামত ও সংস্কার করে বন্যা রোধ করেন।
(ঢাকাটাইমস/৫সেপ্টেম্বর/মোআ)