মা হওয়ার সময় মুটিয়ে যাওয়া কারিনা পরে যেভাবে ফিট হন
গর্ভধারণের সময় নারীদের ওজন বেড়ে যায়। এটাই স্বাভাবিক। পরবর্তীতে একটু সতর্ক হলে সেই বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব। তবে অসতর্ক হলে এই ওজন আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে ওজন নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েন অনেকে।
তাই মা হওয়ার পর যারা ওজন কমাতে চান, তারা বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের মতো পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। গর্ভধারণের সময় যথারীতি তারও ওজন অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু মা হওয়ার পরই আবার স্বাভাবিক চেহারায় ফেরেন নায়িকা।
বড় ছেলে তৈমুরের জন্মের পর পুরনো চেহারায় ফিরতে বেশি সময় লাগেনি কারিনার। সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ওজন কমানো তখন তার প্রয়োজন ছিল। ওজন কমানোর জন্য তিনি নিয়েছিলেন এক অভিনব কৌশল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কোনো তাড়াহুড়ো করেননি কারিনা। সন্তান প্রসবের প্রায় ৪০ দিন পর থেকে ওজন কমানোর জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন অভিনেত্রী। হালকা ব্যায়ামের পাশাপাশি যোগ ব্যায়ামও শুরু করেছিলেন।
সে সময় পেটের মেদ কমানোর জন্য কারিনা বিশেষ ব্যয়াম শুরু করেছিলেন প্রসবের ৪০ দিন পর থেকে। সেই সঙ্গে ডায়েটিসিয়ানের পরামর্শও মেনে চলেছিলেন তিনি।
এমন সাধারণ কৌশলেই প্রথম দিকে ১২ কেজি ওজন কমেছিল কারিনার। তার পরই সিনেমার শুটিংয়ে হাজির হন তিনি। এছাড়া শুটিং শুরুর পরেও শরীরচর্চা ও সঠিক ডায়েট মেনে ওজন কমিয়েছিলেন সাইফ আলি খানের বর্তমান স্ত্রী কারিনা।
ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়াকর জানিয়েছিলেন, কারিনা তাকে বলেছিলেন যে, তিনি রাতারাতি রোগা হতে চান না। কারণ নিছক ওজন কমানো তার লক্ষ্য নয়। তিনি চান ভালো থাকতে, খুশি থাকতে, এবং এনার্জেটিক হয়ে উঠতে।
রুজুতা জানান, সন্তানের জন্মের পরে যেভাবে ধীরে ধীরে ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেছিলেন কারিনা, তা বেশ অভিনব। কারণ অধিকাংশ অভিনেত্রীই তড়িঘড়ি রোগা হতে চান। অথচ গর্ভধারণের পরে ধীরে ধীরে ওজন কমানোই স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি।
আবার ছোট ছেলে জেহ’র জন্মের সময়ও মুটিয়ে গিয়েছিলেন কারিনা। সেই ওজনও কমিয়েছেন একই পদ্ধতি অবলম্বন করে। বর্তমানে তিনি আগের মতোই ফিট। তাকে দেখলে মনেই হবে না তিনি দুই ছেলের মা হয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/এজে)