ক্যানসার দূরে রাখে গাজরের জুস! ডায়াবেটিসও থাকে বশে
অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি গাজর। এতে রয়েছে ভিটামন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। এমনকি এই সবজিতে লিউটিন এবং জিয়াজ্যানথিনের মতো একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে।
সে কারণে নিয়মিত গাজর খেলে দূরে থাকে একাধিক অসুখ। তবে বেশি উপকার পেতে চাইলে মাঝে মধ্যে এই সবজির জুস করে তাতে চুমুক দিতে পারেন। তাতেই শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আর সময় নষ্ট না করে গাজরের জুস খাওয়ার উপকার সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
সক্রিয় হবে ইমিউনিটি
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা রাখাটা খুবই জরুরি। নইলে হঠাৎ হঠাৎ পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল সংক্রামক অসুখ। তাই চিকিৎসকরা সবাইকে ইমিউনিটি বাড়িয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে গাজরের জুসের মতো একটি উপকারী পানীয়।
কারণ, এতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। শরীরে এই দুই ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে। যার দরুন বাড়ে ইমিউনিটি। দূরে থাকে সব জটিল সংক্রামক অসুখ। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই এই পানীয়কে জায়গা করে দিতে হবে।
কাছে ঘেঁষবে না ক্যানসার
শেষ কয়েক দশকে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। তাই বিশেষজ্ঞরা সবাইকে এই রোগ প্রতিরোধের কাজে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দেন। এই কাজেও আপনার হাতের পাঁচ হতে পারে গাজরের জুস।
আসলে এই পানীয়ে রয়েছে পলিঅ্যাসিটাইলিনেস, বিটা ক্যারোটিন এবং লিউটিনের মতো জরুরি সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান সরাসরি ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই এই মরণব্যাধি থেকে দূরে থাকতে চাইলে নিয়মিত গাজরের জুস খেতে ভুলবেন না।
ডায়াবেটিস থাকবে বশে
হাই ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিসের মতো রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণই জরুরি। অন্যথায় কিডনি, হার্ট এবং চোখের মতো একাধিক অঙ্গের বেজে যাবে বারোটা। তাই চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক সুগারকে বশে রাখার। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে গাজরের জুস।
কারণ, এই পানীয়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। যার ফলে গাজরের জুস খেলে সুগার বাড়ে না। এর পাশাপাশি এতে মজুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়। তবে ডায়াবেটিসে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই এই পানীয়ে চুমুক দেওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হার্ট থাকবে চাঙ্গা
এই জুসে রয়েছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। এই উপাদান ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। নিয়মিত গাজরের জুস খেলে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রাও এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়।
এর পাশাপাশি প্রদাহ প্রশমিত করার কাজেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত গাজরের জুস খেতে ভুলবেন না যেন! তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
লিভারের হালও ফিরবে
ফ্যাটি লিভারের মতো জটিল অসুখকে বশে রাখার কাজেও অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই জুস। এতে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েডস লিভারের প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে এই অঙ্গে ফ্যাট জমতেও বাধা দেয়। তাই এ রোগে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই নিয়মিত গাজরের জুস খাওয়া শুরু করুন।
(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এজে)