কাউখালীতে করলা চাষে সফল কৃষক তৈয়ব আলী
পিরোজপুরের কাউখালীতে করলা চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষক তৈয়ব আলী। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেউন্দিয়া ব্লকের ঝাপষী গ্রামের আসমত আলীর ছেলে তৈয়ব আলী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের এসএ সি পি প্রকল্পের আওতায় পঞ্চাশ শতাংশ জায়গার উপর স্থায়ী মাচা তৈরি করে করলা (টিয়া সুপার) চাষ করেন।
এ প্রকল্পে কৃষককে সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ,সার, মাচাসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে কৃষক তৈয়ব আলী প্রকল্প এলাকায় গেলে তৈয়ব আলী তার কৃষিকাজের সাফল্যের কথা ঢাকা টাইমসের কাছে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মাত্র ৫০ শতাংশ জমির উপর করলা চাষ করা হয়। এতে তার খরচ হয়েছে ১০ টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তিনি বলেন, মে মাসে করলা চারার বীজ বপন করা হয়। জুলাই মাস থেকে করলা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ মণ করলা বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি মন করলা ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে।
তৈয়ব আলী জানান, ব্যাপারিরা তার খামার থেকে করলা কিনে নিয়ে যায়। এছাড়া স্থানীয় বাজারে খুচরা হিসেবে প্রতি কেজি করলা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। এ পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার করলা বিক্রি করেছে। এখনো আরও ১০ মন করলা বিক্রি করতে পারবেন।
তৈয়ব আলী বিবাহিত। স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এবং এক ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন। অন্য ছেলেরা তার কৃষি কাজে সহযোগিতা করছেন। ছেলে-মেয়েদের বেশি লেখাপড়া করাতে পারেননি তিনি।
করলার পাশাপাশি বরবটি, কাঁকরোল, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন সবজি সারা বছরই চাষ করে থাকেন। এ দিয়ে তার সংসার ভালোই চলছে বলে তৈয়ব আলী হাসিমুখে বলেন। নিজের কাজ করতে তিনি গর্ববোধ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোমরানি দাস বলেন, ‘আমরা সর্বক্ষণিক তৈয়ব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ কৃষি সংক্রান্ত সরকারি অনুদান দিয়ে থাকি। আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পবিত্র কুমার রায় সার্বক্ষণিক কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এজে)