কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বাতিল করুন
তারুণ্যের হাতকে কর্মমুখী ও সৃজনশীল করতে দেশে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে- দেশে কারিগরি শিক্ষা দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলিত ও বৈষম্যমুলক অবস্থায় রয়েছে। এখানে যুগান্তকারী কোনো পদক্ষেপ না থাকার কারণে বর্তমানের প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগেও এই তারুণ্যশক্তিকে উদ্ভাবনী, যুগোপযোগী ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এই শিক্ষাব্যবস্থায় দ্বৈতনীতির প্রশাসন থাকার ফলে কারিগরি শিক্ষা একটি লেজেগোবরে অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষা সমাজের সচেতন মানুষের কাছে একটা গ্রহণযোগ্য অবস্থানে থাকলেও কারিগরি শিক্ষা এই প্রযুক্তির বিশ্বে সাধারণ মানুষের কাছে তেমনভাবে খুব-একটা পরিচিত হয়ে উঠতে পারেনি। তার নিশ্চয়ই অনেকগুলো কারণও রয়েছে।
বিশ্ব আজ জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে সন্দেহ নেই; বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে কম এগিয়ে নেই, প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে সর্বত্র। সারা বিশ্ব নতুন নতুন জ্ঞান, দক্ষতায় এগিয়ে চলছে। চারিদিকে শুধুই প্রতিযোগিতা ও টিকে থাকার লড়াই। এই টিকে থাকার লড়াইয়ে তারুণ্যশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য ১৮ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাতকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য টেকনিক্যাল শিক্ষাকে গ্রহণযোগ্য ও পরিচিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার বন্ধ দরজাকে খুলে দিতে হবে। সে খোলা দরজার আলো-বাতাসের মধ্যে থাকবে প্রাচুর্য, উন্মূক্ত মাঠের মতো সকল মানুষ প্রাণখুলে শুধু দক্ষতার গান গাইবে সেখানে। আমি মনে করি, সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার মতো সাহসী মানুষ তৈরি হবে কারিগরি শিক্ষায়। এ শিক্ষার মানুষগুলো হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপসহীন। তখন এখান থেকে অধিকার বঞ্চিত হয়ে, কিংবা বৈষম্যের শিকার হয়ে কারো কারিগরি শিক্ষার প্রতি অনীহা বা ঘৃণা জন্মাবে না।
ধরা যাক- প্রতিষ্ঠান একটা ফুটবল বা ক্রিকেট টিম। এ টিমের বিজয়লাভের জন্য প্রত্যেক সদস্যের সমান অংশগ্রহণ থাকা জরুরি এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। আর টিমের যিনি লিডার থাকবেন তার দায়িত্ব থাকবে অনেক বেশি। তার মধ্যে কারো প্রতি আলাদা করে কোনো দুর্বলতা থাকা সংগত নয়; কোনো অসৌজন্যমূলক, অসম দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। যদি তাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা না থাকে, সমমনোভাবাপন্ন মানসিকতা না থাকে তবে তাদের টিমের পরাজয় নিশ্চিত। মনে রাখতে হবে- অসম ব্যবস্থাপনার কারণে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সর্বোপরি কারিগরি শিক্ষা প্রশাসনে কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত ফললাভ করতে সক্ষম হবে না।
কারিগরি শিক্ষার টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সংখ্যা বর্তমানে সারা দেশে ১৬৪টি। আধুনিক স্থাপনার এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে কিছুটা এগিয়ে চললেও এখানে বৈষম্যে একেবারে ঠাসা। কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলছে, বলা যায় মানুষের দৃষ্টিতে এসেছে কারিগরি শিক্ষার যুগোপযোগী দিকটি। বেকার জীবন কেউ চায় না। তাই কারিগরি শিক্ষা নিয়ে স্বাধীন দেশে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে অনেকে। যদিও শিক্ষক স্বল্পতা ব্যাপক। বর্তমানে ১২০০০ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে দেশের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। এর মধ্যে ৩৮, ৪০ ও ৪১তম বিসিএস ননক্যাডার হতে প্রায় তিন ধাপে ১৫০০ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; যারা সবাই উচ্চশিক্ষিত ও মেধাবী। কিন্তু শিক্ষক-চাহিদার তুলনায় এখানে যোগদান করেছে খুবই কমসংখ্যক শিক্ষক। আবার বর্তমানে এখানে টিকে আছে মাত্র ১১০০ শিক্ষক। এমনিতেই শিক্ষকতাকে অনেকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চায় না। বর্তমান মেধাবীরা কোনো চাকুরিতে যোগদান করে ভবিষ্যতের ভাবনা করে থাকে; এই চাকরি থেকে আমি ২০/২৫ বছর পরে আমার অবস্থান কোথায় নিতে পারবো; তখন আমার অন্য ক্যাডারের বন্ধুরা এ সময়ে কোথায় পৌঁছে যাবে। তারা অনেকেই এইসব শিক্ষকতার পদে যোগদান করে দেখে ভবিষ্যৎ অন্ধকার আর প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা রয়েছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে- যা উত্তরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। চাকুরিতে সবচেয়ে বড়ো কথা হলো আত্মসন্তুষ্টি। এই আত্মসন্তষ্টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই বললেই চলে। তার প্রমাণ, এইসব প্রতিষ্ঠানে পূর্বে যোগদানকৃত সাধারণ বিষয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ২২৫ জন শিক্ষক যথাক্রমে ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে যোগদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব্বোচ ডিগ্রি নিয়ে ২০/২৫ বছর যাবৎ একই পদে চাকুরি করতে করতে তারা ঝিমিয়ে পড়েছে। শিক্ষকতার পেশাটি হচ্ছে সজীব ও প্রাণময় পেশা। এই পেশার উচ্চশিক্ষিতরা যদি এভাবে ঝিমিয়ে পড়ে তাহলে নবীন শিক্ষার্থীদের প্রাণে সজীবতা, চাঞ্চল্যতা জাগাবে কে? এইসব শিক্ষকের কোনো প্রমোশন নেই, সিলেকশন গ্রেড নেই। আর্থিক দীনতায় তারা ধুঁকে ধুঁকে মরছে। বারবার প্রতিবাদ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না তারা। কেউ শুনছেও না তাদের জীবনের করুণ কাহিনির কথা। অথচ অন্যদিকে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিপ্লোমাধারী শিক্ষক যারা রয়েছেন তারা পাঁচ বছর কিংবা দশ বছর চাকুরি হলেই চিফ ইন্সট্রাক্টরের প্রমোশন পেয়ে যাচ্ছেন। সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষকরা অপমানিত, অবহেলিত থাকছে এখানে। শিক্ষার্থীরাও এসব শিক্ষককে কোনো শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখায় না। এমন বৈষম্যমূলক শিক্ষা কখনো প্রযুক্তিগত শিক্ষার উৎকর্ষ আনে না; সুসম শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারে না।
কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে চাইলে অবশ্যই সংস্কার প্রয়োজন।বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার উত্তরণ খুবই জরুরি এ ক্ষেত্রে। একজন বিসিএস করা উচ্চশিক্ষিত মেধাবী কেন প্রমোশন পেয়ে চিফ ইন্সট্রাক্টর, অধ্যক্ষ হতে পারবেন না। এই বৈষম্যভরা শিক্ষা ব্যবস্থা কখনোই কারিগরি শিক্ষাক্ষেত্রে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারে না। ১৯৬৭ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কাজ শুরু হলেও সমাজের অধিকাংশ মানুষ ও সুশীল সমাজ কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি একটা নাক সিটকানো দৃষ্টিভঙ্গি এখনো কেন পোষণ করছে তা কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। দেশের সুসম শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পরিবর্তন আনা খুবই জরুরি। অপর দিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং একটি বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ একই অধিদপ্তর ও একই মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ৪৯টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও এসএসসি (ভোক) ও এইচএসসি (ভোক) কোর্সের ১৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ আছে। তবে বৈষম্যের বিষবাষ্প সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে যেভাবে ছড়িয়ে আছে এতটা প্রকটভাবে আক্রান্ত হয়নি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলো।
পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলোতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক, সামাজিক ও মানবিক মানুষ হিসেবেও গড়ে ওঠার ব্যবস্থা রয়েছে। উচ্চতর গণিত ও অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিক্স, অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি পড়ানোসহ বাংলা, ইংরেজি, সোশ্যাল সায়েন্স, ম্যানেজমেন্ট, একাউন্টিং ইত্যাদি বিষয় বিভিন্ন পর্বে পড়ানো হয়। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং একটি বিশেষায়িত শিক্ষায় এ বিষয়গুলো রিলেটিভ সাবজেক্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। তারপরও পলিটেকনিকগুলোতে সকল বিষয়ের শিক্ষকদের মর্যাদার দিক বিবেচনা করে পদ ও পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। সাধারণ বিষয়ের একজন শিক্ষক চাকরি জীবন শেষে পদোন্নতির সর্বশেষ ধাপে যেতে পারে। কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় এসএসসি (ভোক) ও এইচএসসি (ভোক) কোর্সের ১৬৪টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলোতে জাতীয় সমমানের সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে। বাংলা, ইংরেজি, পদার্থ, রসায়ন ও গণিত, ধর্ম ও সোশ্যাল সায়েন্স আবশ্যিক বিষয় হিসেবে পরিগণিত। যেহেতু এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের বেসিক লেভেলের সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে সেহেতু এখানে সাধারণ শিক্ষার সাথে কারিগরি শিক্ষার সম্মিলন হওয়া সংগত- একথা নির্র্দ্বিধায় বলা যায়। কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার মতো জাতীয় কারিকুলামকেই মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় কিন্ত অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতীয় সমমানের আবশ্যিক বিষয়ের শিক্ষকদের দাবিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের কোনো পদ, পদবি নেই, পদোন্নতি নেই। পাশাপাশি দেখা যায়, কারিগরি শিক্ষকরা যথাযথ পদোন্নতি পেয়ে তাদের কাক্সিক্ষত জায়গায় উঠে গেছে।
সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি অতিরিক্ত টেকনিক্যাল পড়াশোনার সুযোগ এবং দক্ষ হওয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। তবুও মানুষ কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে না কেন বিষয়টি ভাবতে হবে সংশ্লিষ্টদের। কারণ এ ব্যবস্থায় সুপ্রশাসক গড়ে উঠেনি এখনো। বৈষম্যমূলক পদোন্নতির মাধ্যমে মনে হচ্ছে মেধাহীন এক শ্রেণির শিক্ষাপ্রশাসক সৃষ্টি হয়েছে দেশে। প্রসাশক হওয়াটা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার আবার যোগ্যতারও ব্যাপার। একজন ভালো শিক্ষক ভালো প্রশাসক নাও হতে পারেন। তবে শিক্ষা প্রশাসনে যোগ্যতা ও মেধাকে প্রাধাণ্য না দিলে ভালো শিক্ষার পরিবেশ গড়ে উঠতে পারবে না কখনো। এখানে সজনপ্রীতির কোনো স্থান থাকা সংগত নয়। যোগ্য, অভিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিকেই মনোনিত করা উচিত প্রশাসক হিসেবে। তাই এই বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার সংস্কার করে এবং যোগ্যতাভিত্তিক প্রমোশনের ব্যবস্থা করে কারিগরি শিক্ষাকে সমাজের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
নতুন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয়ী ছাত্র সমাজের কাছে কারিগরি শিক্ষকদের প্রত্যাশা সমাজের সকল ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য দূর হোক। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার বৈষম্য দূর করতে পারলে একটি কর্মমুখী, সৃজনশীল, প্রযুক্তি উৎকৃষ্ট কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সকলের হাতকে হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বর্তমানে যে ১৪% কারিগরি শিক্ষাসম্পন্ন মানুষ রয়েছে তা আগামী ৮ বৎসরে বাড়িয়ে ৩০% কারিগরি শিক্ষিত ও কর্মমুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। একটি দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩০% মানুষের কারিগরি শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। যদিও উন্নত দেশে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানুষের সংখ্যা আরো বেশি। যেমন সিঙ্গাপুরে রয়েছে ৬৫% কারিগরি দক্ষ মানুষ। আমাদেরকে সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তরুণদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা ও অদম্য সাহস। ২০২৪-এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ- যা একটি ইতিহাস। নতুন প্রজন্ম পুরাতন ধ্যানধারণা ও বিশ্বাসকে হটিয়ে বিদায় করে গড়তে চায় স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার এক বাংলাদেশ। এই তারুণ্যের বাংলাদেশে, নতুন বাংলাদেশে, স্বাধীন বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার বৈষম্যকে দূর করে কর্মমুখী, দক্ষ ও সৃজনশীল বাংলাদেশ গঠন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি।রহমান শিবলু: কারিগরি শিক্ষক, কবি ও লেখক