উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
| আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:২৮ | প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:২৩

ছয়দিন বন্ধ থাকার পর আবারো চালু হলো দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিট। এর মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন ওয়েল পাম্প স্থাপন করে রবিবার দুপুর ১টা ৫৯মিনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও দৈনিক ২০০-২২০ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। যা জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এটি চালু রাখতে দৈনিক ২২০০-২৩০০ মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন হবে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বর থেকে ৩য় ইউনিটটি চালু হলেও দুই দিন পর সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত থেকে নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও, সেটি থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে ৮০০-৯০০ মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন হচ্ছে। এতে করে বর্তমানে গড়ে দুটি ইউনিট থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট বিদুৎ এই কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। যা উত্তরের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করছেন কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করেন চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল। ২০২০ সাল থেকে ২৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের চুক্তি মোতাবেক আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট হলেও বেশিরভাগ সময়ই দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বাকি একটি ইউনিট ওভার ওয়েলের জন্য বন্ধ থাকে। এর মধ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায় ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন নম্বর ইউনিটের উৎপাদন। মাস দিন বন্ধ থাকার পর গত সেপ্টেম্বর থেকে ৩য় ইউনিটটি চালু হলেও যা দুই দিন পর সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে গত সেপ্টেম্বর নম্বর ইউনিটটিও সংস্কারকাজের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত থেকে নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও, সেটি থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হচ্ছে। এতে উত্তরের আট জেলায় লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে ধারণা করা হচ্ছে।

অপরদিকে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। যা থেকে উৎপাদন হতো ৬৫-৭০ মেগাওয়াট।

জানা গেছে, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনো চালানো হয়নি।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। চায়না থেকে নতুন ওয়েল পাম্প এনে স্থাপন করে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে দুটি ইউনিট থেকে গড়ে ২৮৫ মেগাওয়াট বিদুৎ এই কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এতে করে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :