নিজের ভোট নিজে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নিজের ভোট নিজে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। আমরা ২০০৮ সাল থেকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে নেমেছি, একটি সুস্থ অবাধ নির্বাচন, শেখ হাসিনার পতন দেখেছি, কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের গণতন্ত্র এখনও ফিরে পাইনি। আমরা ২০০৮ সাল থেকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে । এই আন্দোলন চলমান।
মঙ্গলবার বিকালে খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড় জিয়া হল চত্বরে র্যালিপূর্ব খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি খুলনা বিভাগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আমাদের জন আকাঙ্ক্ষার একটি ভোট। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দিব। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেব, দিনের ভোট দিনে দিব। কোনো রাতের ভোট না।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর রায় বলেন, আপনি সফল হন জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আমরা চাই। একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যতোটুকু সময় লাগে, ততো টুকু সময় আমরা দিব। আমাদের নির্বাচন চাই। তারিখটা ঠিক করে জানিয়ে দেন এতো মাসের, এতো তারিখে নির্বাচন। আপনারা প্রস্তুতি নিন। আমরা সকল রাজনৈতিক দলে মাঠে নামি। নির্বাচনী প্রস্তুতি নি। তারপরে জনগণ কাকে ভোট দিবে না দিবে সেটি সিদ্ধান্ত হবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদেরকে বিরোধী দল ভাববেন না। বিএনপি একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা আপনাদের সকল কাজের সমর্থনকারী। আপনারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল, কোন রাজনৈতিক দল নন। অন্তর্বর্তী সরকারের যারা আছেন, তাদের প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দিবেন। জাস্ট আপনাদের কাজ জাতিকে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া।তিনি বলেন, আপনারা আমাদের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করেননি, শুধু কয়েকটা মামলা প্রত্যাহার করেছেন। আমার ৬০ টা মামলা। হাসিনা নাই, আমি কেন আদালতে হাজিরা দেব। কেন আমাদের নেতাকর্মীদের হাজিরা দিতে হয়। তারা কি চুরি, খুনের মামলার আসামি? তারা রাজনৈতিক মামলার আসামি। সেই মামলা মোকাবেলা করে আমাদের আন্দোলনের ফসল আপনারা। আপনারা সঠিক কাজের উদ্যোগ নিন, আমরা আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সহযোগিতা করব।
নগরীর শিববাড়ী মোড়স্থ জিয়া হলের সম্মুখে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে একটি বৃহৎ র্যালি বের হয়। র্যালিটি যশোর রোড হয়ে পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরীঘাট মোড়, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান, খুলনা জিলা স্কুলের সামনে ঘুরে কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
খুলনা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, বিএনপি’র বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি’র জাতীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এমআর)