শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আটক করতে হবে: আবু হানিফ
গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন প্রাপ্ত হওয়ায় চকবাজার থানা গণঅধিকার পরিষদ এক পথসভা ও শুভেচ্ছা মিছিল আয়োজন করে।
শুক্রবার বিকালে চকবাজার থানার সামনে থেকে মিছিল শুরু করে চকবাজার থানার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, গণঅধিকার পরিষদ কোন চাঁদাবাজি, দখলদারি সমর্থন করে না, আমরা সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। গণঅধিকার পরিষদ আগামী সব সংসদীয় আসন এককভাবে প্রার্থী দেবে।
আজকে পত্রিকায় দেখলাম শেখ হাসিনার নামে মাত্র ২০০শ মামলা হয়েছে, ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা নামে কমপক্ষে হাজার খানেক মামলা হওয়া উচিত। এখনও যে সব পরিবার মামলা করেননি তারা থানায় গিয়ে মামলা করুন। শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের অনেকের নামে হত্যা মামলা রয়েছে, তার পরিবারের অনেকেই দেশে আছে তারপরও কাউকেই আটক করা হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলবো আগামী ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে আটক করতে হবে। এখন আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ, তাই বিভিন্নস্থানে ছদ্মবেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। আপনাদের বলবো আপনাদের আপা কিন্তু আপনাদের কথা চিন্তা করে নাই, আপনারা নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না। শান্ত পাহাড়কে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী লীগ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা ষড়যন্ত্র করার পায়তারা করছে তারা শান্ত পাহাড় কে রক্তাক্ত করার চেষ্টা করছে, আপনারা বিশৃঙ্খলা করবেন, সরকার কাউকেই ছাড় দেবে না। কোথাও কেউ বিশৃঙ্খলা করলে কিংবা অপরাধ করলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন।
গণঅধিকার পরিষদ কোনো মব জাস্টিস কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকে সমর্থন করে না। সেনাপ্রধান বলেছিলো ৬শর বেশি লোককে তারা নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় দিয়েছিলো তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের কত জনের নামে মামলা হয়েছিল এবং কত জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে সেই তালিকাও গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে জনগণ সেনাপ্রধানের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামবে।
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুজ জাহের বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র্ব্রের প্রতিটি সেক্টরে বসে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রকে সহায়তা না করে দেশবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমালোচনা করে আব্দুজ জাহের বলেন, বিপ্লবের দেড়মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়নি, জনগণ কিন্তু বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এড. নাজিম উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পর থেকে আমি এই ডাইনী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কারণ সেদিন আমার দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে শেষ করার চক্রান্তের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমরা শেষ পর্যন্ত রাজপথে ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে ষড়যন্ত্র করে অতীতেও দমিয়ে রাখতে পারেনি, আগামীতেও পারবেনা ইন শাহ্ আল্লাহ। আপনারা ভিপি নুর এর নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিন। ইনশাহ্ আল্লাহ আমরা আগামীতে একটি সুন্দর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।
পথ সভায় সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ নিরাপত্তা বিষয়ক সহ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ ও চকবাজার থানার সমন্বয়ক বাহারুল্লাহ রাজু প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/জেবি