নজরুল ইনস্টিটিউটের নতুন নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৫ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন গীতিকবি, গায়ক ও লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী।

রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগাদেশ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী দুই বছরের জন্য লতিফুল ইসলাম শিবলীকে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮-এর ধারা-৯ (২) অনুযায়ী নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লতিফুল ইসলাম লেখেন, ‘লেখক হিসেবে আমি সারা জীবনই বিদ্রোহী কবি নজরুলের মতো হতে চেয়েছিলাম। আমার লেখালেখির ভেতর যে দ্রোহ, বিদ্রোহের ছিটেফোঁটা এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস, সবকিছুরই মূল অনুপ্রেরণা কাজী নজরুল ইসলাম।’

‘সেই কবির জন্য প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়াটা আমার লেখক জীবনের জন্য সম্মানের। ইনশাআল্লাহ আমি ঈমানদারীত্বের সাথে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব নজরুলের কাব্য চেতনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে’ বলেন লতিফুল ইসলাম।

লতিফুল ইসলাম শিবলী একাধারে কবি, গায়ক, মডেল, ঔপন্যাসিক এবং অভিনেতাও। লিখেছেন নাটক ও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য। নাট্যকার হিসেবে তার লেখা প্রথম সাড়াজাগানো নাটক ‘তোমার চোখে দেখি’। নিজের লেখা নাটক ‘রাজকুমারী’তে মির্জা গালিবের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ও করেছেন লতিফুল ইসলাম।

নব্বইয়ের দশকে ৪০০টিরও বেশি গান লিখেছিলেন তিনি। আইয়ুব বাচ্চুর ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘সুখেরই পৃথিবী সুখেরই অভিনয়’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘মাকে বলিস’; জেমসের ‘জেল থেকে বলছি’, ‘প্রিয় আকাশী’, ‘বিবাগী’, ‘পালাবে কোথায়’, ‘মন্নান মিয়ার তিতাস মলম’, ‘গিটার কাঁদতে জানে’; তপন চৌধুরী-শাকিলা জাফরের ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’; মাইলসের ‘পলাশীর প্রান্তর; সোলসের ‘হাজার বর্ষারাত’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা গীতিকবি শিবলী।

হাল আমলে কবিতা, গল্প উপন্যাস লেখালেখিতেও ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন লতিফুল ইসলাম। লতিফুল ইসলামের প্রায় সবগুলো উপন্যাসই ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ‘আসমান’, ‘দারবিশ’, ‘অন্তিম’, ‘ইমাম’, ‘দখল’, ‘নূর’, ‘ফ্রন্টলাইন : শান্তিুর জন্য যুদ্ধ’।

এছাড়াও তার কবিতার বই ‘ইচ্ছে হলে ছুঁতে পারি তোমার অভিমান’, ‘তুমি আমার কষ্টগুলো সবুজ করে দাও না’, সংগীত বিষয়ক আলোচনা ‘বাংলাদেশে ব্যান্ড সঙ্গীত আন্দোলন’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এসআইএস)