যেসব অভ্যাস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়, প্রতিরোধের উপায়

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬
অ- অ+

হার্ট বা হৃদয় মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নিঃশব্দ ঘাতক হার্ট অ্যাটাক আমাদের জীবনকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে। হৃদযন্ত্রকে বলা হয় শরীরের ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন বিকল বা আক্রান্ত হলে সারা শরীরে প্রভাব পড়ে। হৃদরোগ হলে রক্তচাপ, ইনডোকার্ডিক এবং করোনারি আর্টারির মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।

সারা বিশ্বের মতো আজ ২৯ সেপ্টেম্বর দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৪। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইয়েস, ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন অর্থাত্ ‘হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে’। প্রতিপাদ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে হৃদযন্ত্রের যত্ন ও হৃদযন্ত্রের সক্ষমতা বাড়নোর আহ্বান করা হয়েছে।

যখন হৃৎপিণ্ডের কোনো শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সময়ের অভাবে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, অত্যধিক ব্যস্ততা, মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, বাইরের তেল-মশলাদার খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু হার্টের অসুখের দিকে আমাদের ঠেলে নিয়ে যায়।

হার্ট অ্যাটাক যে কোনও বয়সে, যে কোনও সময়ে হতে পারে। অনেকে মনে করেন, ছেলেদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি থাকে। এমন কিছু সাধারণ উপসর্গ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে, যা আমরা দেখেও অবহেলা করি। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কোন কোন লক্ষণে ধরা সম্ভব?

হঠাৎ করে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? তা হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকতে পারে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে এলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অযথা ফেলে রাখবেন না। হৃদ্যন্ত্রের কোনও রকম সমস্যা হলে ফুসফুসও অক্সিজেন কম পায়। তাই এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

এসিতে বসেও হঠাৎ ঘাম হচ্ছে? একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? তা হলেও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক মতো অক্সিজেন পায় না। তাতে হাঁপ ধরতে পারে।

যদি মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন, দরদর করে ঘামছেন, তা হলে উপেক্ষা করবেন না। এই লক্ষণ কিন্তু হৃদ্রোগের ইঙ্গিত দেয়।

চোয়ালে ব্যথাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে।

বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানান। চোয়ালে ব্যথাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে।

মেয়েদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া বা হাঁপ ধরা ছাড়াও পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মতো কিছু অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

হঠাৎ করে জোরে নাক ডাকতে শুরু করেছেন? রাতে শোয়ার পরেই নাক বন্ধ হয়ে আসছে? গলা শুকিয়ে আসছে? এটি কিন্তু স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে। শরীরে স্লিপ অ্যাপনিয়া বাসা বাঁধলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে, এই রোগের হাত ধরে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

হৃদ্যন্ত্র ঠিক মতো কাজ করতে না পারলে, কিডনির উপরেও তার প্রভাব পড়ে। ফলে শরীর থেকে জল ও সোডিয়াম ঠিক মতো বেরোতে পারে না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পানি জমতে শুরু করে। ফলে হাত-পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলতে শুরু করে। এই লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ কারণ এতে থাকে সোডিয়াম। শুধু খাবারে পরিমাণ মতো লবণ খাওয়াই সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। বাজারজাত নানা খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ থাকে, যা বাড়িয়ে দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাই প্যাকেটজাত ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।

মানসিক চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ বৃদ্ধিরও সম্পর্ক রয়েছে। কোনও ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে ক্ষতি হতে পারে রক্তবাহের। পাশাপাশি, মানসিক চাপে ভোগা মানুষ অনেক সময় নেশার দিকে ঝোঁকেন। এতেও ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রের। বেড়ে যায় রক্তচাপ।

যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। পাশাপাশি, অনিদ্রা ও মানসিক চাপ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। ফলে অনিদ্রা বাড়িয়ে দিতে পারে মানসিক চাপ, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

অতিরিক্ত মদ্যপান করলে শরীরে ফ্যাট জমে যা রক্তবাহী শিরা ও ধমনীর দেওয়াল ছোট করে দেয়। ফলে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয়, যা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

শরীরচর্চা না করলেই শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে। অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাই কেবল সুন্দর দেখানোর জন্যই নয়, শরীর চাঙ্গা রাখতেও নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। ভারী শরীরচর্চা না করলেও কার্ডিয়ো, যোগাসনের মতো হালকা ব্যায়াম নিয়ম করে করলেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

পুষ্টিবিদদের মতে, আপনাকে হার্টের সমস্যা দূর করতে গেলে কয়েকটি খাবার খেতে হবে। হার্টের সমস্যায় এমন খাওয়ার খেতে হবে যাতে ফাইবার থাকবে বেশি পরিমাণে। সেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকবে। শুধু খাওয়া নয়, নজর দিতে হবে শরীরচর্চাতেও। জেনে নিন সেই সমস্ত খাদ্য তালিকা যা হার্টকে সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে-

আপেল

প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। কারণ আপেল হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করে। আপেলে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, থিয়ামিন, নিয়াসিন, কোলেন ইত্যাদি। এছাড়াও ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারে এই খাবার।

পেয়ারা

পেয়ারাতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি, বি৬। এছাড়া ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর থাকে এই খাবার। তাই প্রতিটি মানুষকে এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কারণ এই সব গুণের কারণে পেয়ারা হৃদরোগ প্রতিহত করে। তাই এই ফল খান।

কলা

কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, বি৬ ও ফাইবার। এতে থাকা পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে প্রেশার। এছাড়া দেখা গিয়েছে যে কলাতে থাকা ফাইবার শরীর থেকে কোলেস্টেরল বের করে দিতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা খুবই দরকার। অন্যথায় সমস্যা বাড়ে।

ছোলা

ছোলা কার্ডিওভাসকুলার পুষ্টিগুণসম্পন্ন। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাসিয়াম রয়েছে। শুধু তাই নয় ছোলা কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে।

কফি

এই তিক্ত পানীয়টি আমাদের হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কফি করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্ট ফেইলিওর এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

ডুমুর

ডুমুর হার্ট সুরক্ষিত করার জন্য পুষ্টির অন্যতম সেরা উৎস। এই ফলটি ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারযুক্ত যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

আদা

গন্ধযুক্ত এই মশলাটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

জাম্বুরা

জাম্বুরা কোলিন, ফাইবার, লাইকোপিন এবং পটাসিয়ামযুক্ত। এই সমস্ত উপাদানগুলো হার্ট ভালো রাখার দুর্দান্ত উপায়। উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করার জন্য এটি অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান।

গ্রিন টি

গ্রিন টি একটি সতেজ পানীয় হিসাবে পরিচিত। গ্রিন টি তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ধমনী ফলক তৈরি রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও গ্রিন টি এলএল, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়।

লাউ

লাউ মোটা হওয়ার হাত থেকে বাঁচায় ও হার্ট ব্লকেজের মতো সমস্যাকে প্রতিরোধ করে। লাউ সেদ্ধ করে তাতে ধনেগুঁড়া, হলুদ ও ধনেপাতা মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুই বার খেলে হার্ট ভালো থাকবে।

রসুন

রসুন নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে। রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি পদার্থ বর্তমান যা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন খেলে দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা কমে। উচ্চ রক্তচাপ হার্টের ক্ষতি করে। নিয়মিত রসুন খেলেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও কমে।

লেবু পানি

প্রতিদিন লেবু পনি পান করলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট ব্লকেজের ঝুঁকি কমায়।

কমলালেবু

কমলালেবু ফলে রয়েছে অনেকটা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিন্তু বহু সমস্যার করে দিতে পারে সমাধান। হার্টের অসুখও দূরে থাকে, তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।

নাশপাতি

নাশপাতি ফলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। এছাড়া ভিটামিন ডি, সি, কে থাকে এই ফলে। আবার পটাশিয়াম থাকায় প্রেশার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে ন্যাশপাতি। তাই এই ফলও ডায়েটে রাখা উচিত হৃদরোগ দূরে রাখতে চাইলে। এছাড়া স্ট্রবেরি ও অ্যাভোকাডো খেলেও হার্ট ভালো থাকে।

দুধ ও আমলকী

দুধের সঙ্গে আমলাচূর্ণ মিশিয়ে নিয়মিত এক গ্লাস খেলে হার্টের সমস্যা দূরীভূত হয়।

বেদানা

বেদানায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেদানা কিন্তু ওষুধের মতো কাজ করে। একসঙ্গেই কোলেস্টেরলও বাড়তে দেয় না। কোলেস্টেরল আর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের সমস্যা কমবে।

বিট

হার্টের জন্য আরও একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হল বিট। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, মিনারেলসে সমৃদ্ধ বিট রক্তচাপের মাত্রা কমায়। রক্ত চলাচল সচল রাখে। রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ফলে হার্টের কোনও সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

বেরি

হার্টের যত্ন নিতে বেরি অত্যন্ত উপকারী একটি ফল বেরি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ছাড়াও এমন কিছু উপাদান রয়েছে বেরিতে, যেগুলি হার্টের খেয়াল রাখতে অব্যর্থ। ওষুধ তো খাবেনই, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ীও চলবেন। পাশাপাশি, এই ফলগুলিও খেতে হবে। উপকার পাবেন।

ডার্ক চকোলেট

গবেষণায় দেখা গেছে হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী এক খাবার হলো ডার্ক চকোলেট। সব সময় যারা ডার্ক চকোলেট (৭০ শতাংশ কোকোয়া সমৃদ্ধ) খান, তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এতে যে পলিফেনল উপদান থাকে, তা রক্তচাপ কমায়।

(ঢাকাটাইমস/২৯ সেপ্টেম্বর/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ  
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত করতে ডোপ টেস্টের দাবি শিক্ষার্থীদের 
বকেয়া ৪৭৮ কোটি টাকা, ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রকল্প কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি: এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা