মাওলানা আজহারী দেশে ফেরায় ফেসবুকে যা লিখলেন আহমাদুল্লাহ

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৭ | প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৮

সাড়ে চার বছর পর জন্মভূমি বাংলাদেশে ফিরেছেন তুমুল জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। বুধবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ খবর জানান তিনি। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণের একটি ছবিও পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সালামাতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। দোয়ার নিবেদন।’

ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ওই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। হাজার হাজার রিঅ্যাক্ট ও কমেন্ট পড়তে থাকে। পোস্টটি চোখ এড়ায়নি আরেক জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহরও। তিনি মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘স্বাগতম। আপনার এই প্রত্যাবর্তন বরকতময় হোক। দীন ও দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ওয়াজ মাহফিলে তার নানা বয়ানের কারণে দলটির রোষের মুখে পড়েন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে মালয়েশিয়ায় চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন এই ইসলামি স্কলার।

ওই পোস্টে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছিলেন, ‘পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখানেই এ বছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হলো। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে আবারও দেখা হবে ও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।’

এ ঘটনার সাড়ে চার বছর পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট এক ভিডিও বার্তায় মাওলানা আজহারী জানান, শিগগিরই দেশে ফিরবেন তিনি। ওই সময় ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে জানতে চেয়েছেন আমি কবে দেশে ফিরবো। দ্রুত দেশে ফিরব, আপনাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছি।’ অবশেষে ফিরলেন।

১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরায় জন্মগ্রহণ করেন মিজানুর রহমান আজহারী। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লার মুরাদনগরের পরমতলা গ্রামে। তার বাবা একজন মাদরাসার শিক্ষক। তার পরিবারে মা-বাবা ও এক ভাই, স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে।

মিজানুর রহমান ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে ২০০৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে আলিম পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ করেন। ২০০৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মিশর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিসরে যান। সেখান থেকে ডিপার্টমেন্ট অব তাফসির অ্যান্ড কুরআনিক সায়েন্স থেকে ২০১২ সালে শতকরা ৮০ ভাগ সিজিপিএ নিয়ে অনার্স উত্তীর্ণ হন।

এরপর মিসরে দীর্ঘ পাঁচ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করে ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া যান। সেখানে গার্ডেন অব নলেজ খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব কোরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ থেকে ২০১৬ সালে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করেন। বাংলাদেশের মতো মালয়েশিয়াতেও তিনি ইসলামি বক্তা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়।

(ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :