পুলিশ সংস্কারে ৯ সদস্যের কমিশন, দায়িত্বে যারা
প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৬
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পুলিশ বাহিনী সংস্কারে বিশেষ জোর দিয়েছে। সে লক্ষ্যে এবার গঠিত হলো ৯ সদস্যের ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’। এই কমিশনের লক্ষ্য একটি জনমুখী, জবাবদিহিমুলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা।
‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করে বৃহস্পতিবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কারা রয়েছেন সেই কমিশনের সদস্য হিসেবে?
প্রজ্ঞাপন বলছে, কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনকে।
অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ নামে কমিশন গঠন করল।’
আরও বলা হয়েছে, কমিশন ৩ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট সকল মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন/সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’
‘তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা কমিশনের চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।’
(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/এজে)