ধর্মবোন ডেকে কাছে এসে ছেলে অপহরণ, যেভাবে উদ্ধার করল র্যাব
প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:২৯ | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৩১
রাজধানীর সদরঘাট থেকে সুপরিকল্পিতভাবে অপহৃত প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদুল্লাহ আল নূর তুষারকে উদ্ধার করেছে র্যাব। অপহরণের ছয় দিন পর শনিবার রাতে র্যাব-২ ও ৮ এর যৌথ অভিযানে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় অপহরণকারী বাদলের। ধর্মবোন ডেকে সম্পর্ক পাকাপোক্ত করেন। একাধিকবার দেখা করে বিশ্বস্ততাও অর্জন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় ফের দেখা করেন ওই নারী ও অপহরণকারী বাদল। এ সময় ভিকটিম তুষারকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে সঙ্গে করে নিয়ে পালিয়ে যান।
রবিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
তিনি বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় আব্দুল্লাহ আল নূর তুষার (৮) নামের এক শিশু অপহরণের শিকার হয়। অপহরণকারী বাদলের (৩০) সঙ্গে ভিকটিমের মায়ের পরিচয় হয় মোবাইলের মাধ্যমে। সে সময় অপহরণকারী নিজেকে হৃদয় নামে পরিচয় দেন।
সেই পরিচয়ের সুবাদে ঘটনার দিন ছেলেকে নিয়ে ওই নারী সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় বাদল ওরফে হৃদয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরবর্তীতে বাদল (হৃদয়) ভিকটিম তুষারকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে অপহরণ করেন।
ভিকটিমের মা সদরঘাটের সোয়ারীঘাট ও এর আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এ একটি মামলা করেন।
তিনি বলেন, গত ২ অক্টোবর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভিকটিমের মাকে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের ৬ হাজার টাকা দেয়।
এরপর ভিকটিমের বাবা ছেলেকে উদ্ধারে র্যাব-২ এর কাছে লিখিত আবেদন করেন। তারই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে র্যাব-২ ও ৮ এর যৌথ আভিযানিক দল শিশু তুষারকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানাধীন আমরাগাছি হোগলপাতি নামক প্রত্যন্ত এলাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা ভিকটিমকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মুনীম ফেরদৌস জানান, অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপহৃত শিশু তুষারকে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে অপরিচিত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/৬অক্টোবর/এলএম/এজে)