ওবায়দুল কাদের-নানক-ডিবি হারুনদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে যা বললো র্যাব
প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩১ | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩৬
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশকিছু সদস্য গ্রেপ্তার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় বড় কর্মকর্তারা। এসব নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে র্যাব কাজ করছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের, নানক ও ডিবির হারুনের মতো বিতর্কিতদের গ্রেপ্তারের বিষয় মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের বিষয় আমাদের কাজ চলছে। তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি। র্যাবের মধ্যে এমন কেউ আসামি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায় নি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায় নি। র্যাবে ৮টি বাহিনী থেকে সদস্য আসে। র্যাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ ভাগ পুলিশ বাহিনী থেকে এসেছে। র্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। ছাত্র জনতার ওপর র্যাব কখনোই মারণাস্ত্রের গুলি ব্যবহার করে নি। আমরা ছাত্র জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে র্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে র্যাবে এই কর্মকর্তা বলেন, গত ৫ আগস্ট পরে এখন পর্যন্ত র্যাব এক হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন রয়েছেন। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে করে উচ্চপর্যায়ের অনেককেই গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া আমরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছি। র্যাবের কাছে কেউ যদি কোনো তথ্য পায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। র্যাব সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।
(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/এলএম/এমআর)