এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরীর পদত্যাগ, সরকারের অংশ হওয়ার গুঞ্জন

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীকে সরকারের উপদেষ্টা করা হচ্ছে মর্মে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এবি পার্টির আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের কথা জানান এবি পার্টির আহ্বায়ক।

ফেসবুক পোস্টে সোলায়মান চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমি এবি পার্টির আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’

অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী কী কারণে পদত্যাগ করেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর কোনো ব্যাখ্যাও দেননি তিনি।

তবে একাধিকসূত্র জানিয়েছে, সোলায়মান চৌধুরীকে সরকারের উপদেষ্টা বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তিনি দলীয় পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে এবি পার্টির কয়েকজন নেতা সচিবালয়ে একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টার সাথে একান্ত বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। মিটিংয়ের পর পরই সোলায়মান চৌধুরীর পদত্যাগের ঘোষণাটি আসে বলে সূত্র জানায়।

এর আগে এবি পার্টির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম পদত্যাগ করেন এবং এরপর তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। সম্প্রতি এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকও পদত্যাগ করেন। যদিও তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন এবং খুবই অসুস্থ।

২০২০ সালের ২ মে নতুন দল এবি পার্টি গঠন হয়। এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্যসচিব করে এর কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়।

সোলায়মান চৌধুরী এর আগে জামায়েতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সচিব পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর তিনি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত হন। পদত্যাগের আগে মজলিশে শুরার সদস্য এবং দলের পেশাজীবীদের সংগঠন জাতীয় পেশাজীবী ফোরামের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।

এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ফেনীতে জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন। পরে সংস্থাপনসচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কুমিল্লার লাকসাম থেকে জামায়াত তাকে তাদের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করে।

(ঢাকাটাইমস/০৮অক্টোবর/এসআইএস)