আওয়ামী লীগ ছাড়বেন সাবের চৌধুরী? বহুমুখী গুঞ্জন, কৌতূহল
প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:২৪ | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:০২
সাবের হোসেন চৌধুরী কি করবেন? তাকে দিয়ে কি করানো হবে? সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেবেন? ইসলামপন্থি কোনো দলের সঙ্গে কি তার গভীর যোগাযোগ হয়েছে? যোগ দেবেন ইসলামপন্থি ওই দলটিতে? যাদের নেতৃত্বে ছোট ছোট ইসলামী দলগুলোর জোট গড়ার আলোচনা রয়েছে কিছুদিন ধরে।
এমন নানা গুঞ্জন এখন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে। একাধিক খুনের মামলায় গ্রেপ্তার, অতঃপর রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সাবেক পরিবেশমন্ত্রীর জামিনের পর তাকে নিয়ে কৌতূহলের পারদ ক্রমাগত বাড়ছে।
কেউ বলছে, সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা, কেউ বলছে পশ্চিমাদের চাপ। আবার কেউ বলছে, সুশীল সমাজের প্রেসক্রিপশনে সাবের চৌধুরী মুক্ত হয়েছেন। যদিও আইনি ভাষা বলছে, স্বাস্থ্যগত কারণে আদালত সাবের চৌধুরীকে জামিন দিয়েছে।
ঢাকা টাইমস খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন মহলে। জানতে, বুঝতে চেষ্টা করেছে প্রতিক্রিয়া। কার কী মত? বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা পরিষ্কার বললেন, ডাল মে কুছ কালা হায়। সাবের চৌধুরী কুশীলব। মেধাবী, ধনাঢ্য এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগে দক্ষ। তিনি কারো না কারো যোগাযোগে লাগবেন।
আরেকটি সূত্র ঢাকা টাইমসকে বলছেন, সাবের চৌধুরীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ গভীর এবং শক্তিশালী। তিনি পশ্চিমাদের পছন্দের ব্যক্তি। আইপিইউর প্রাক্তন সভাপতি পদে ছিলেন। তাকে অন্তর্বর্তী সরকার কাজে লাগাবেন দেশের স্বার্থে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
একথা তো ঠিক যে, সাবের চৌধুরী দীর্ঘকাল আওয়ামী লীগে ছিলেন কোণঠাসা হয়ে এবং পুরোপুরি উপেক্ষিতই। এক-এগারোর পরে তাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা মার্কার এমপি করা হলেও তিনি শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন না। এমপি হয়ে সংসদে যাতায়াত ছাড়া আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে সাবের চৌধুরীর উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল না।
তাহলে ২০২৪ সালের হাসিনা মন্ত্রিসভায় সাবের চৌধুরীর জায়গা হলো কিভাবে? ঢাকা টাইমস এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে। জানা যায়, মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় লবিকে তুষ্ট রাখতেই সাবের চৌধুরীকে বন ও পরিবেশমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে ২০২৩ সালে সাবের হোসেন চৌধুরীকে জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূতও করা হয়। কিন্তু এক-এগারো থেকে শেখ হাসিনার কাছে যে আস্থা সাবের চৌধুরী হারিয়েছেন সেটা আর ফিরে পাননি।
যেহেতু দেশে ও বিদেশে উল্লেখযোগ্য সব মহলেই সাবের হোসেন চৌধুরীর একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি আছে তাহলে সেই ভাবমূর্তিকে পুঁজি করে কেউ না কেউ এগোবেন? এমন সম্ভাবনার কথাও কেউ কেউ বলছেন যে, সাবের হোসেন চৌধুরীকে দিয়েও আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের কাজ করানো হতে পারে। যদিও কার্যত অসম্ভব সেই কাজে সাবের চৌধুরী কতটা রাজি কিংবা শেখ হাসিনাও সম্মত কিনা সেটার বিষয়ে নিশ্চিত কিছু এখনই বলা যায় না।
কিন্তু যে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ছয়টি হত্যা মামলায় সাবের চৌধুরীর জামিন হয়েছে তাতে এই মুহূর্তে তাকে ভাগ্যের বরপুত্র কেউ কেউ বলতেই পারেন।
যদিও বিএনপির আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, সাবের চৌধুরীর জামিন পাওয়া বিরল ঘটনা এবং অস্বাভাবিক বিষয়। সত্যি কি তাই। এরপর কী ঘটে অপেক্ষায় রইলাম আমরা সবাই।
(ঢাকাটাইমস/০৯অক্টোবর/এআরডি)