নোয়াখালীতে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপি নেতা আবেদের মোটরসাইকেল শোডাউন

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেল শোডাউন করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের বিরুদ্ধে। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার সামনে থেকে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল সহকারে সুন্দলপুর ইউনিয়নের রাজুরগাঁও গ্রাম হয়ে চাপরাশিরহাট পর্যন্ত শোডাউন করেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আবেদকে সম্প্রতি নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মর্মে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচার করেন। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।

এদিকে তার মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার কারণে বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের মতে আবেদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, আবেদ তার কিছু অনুসারীকে নিয়ে গত তিনদিন কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলায় মিছিল ও শোডাউন করছেন। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকালে অর্ধশতাধিক বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি নেতা আবেদ মোটর সাইকেল শোডাউন করে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান। এ সনয় গ্রামীণ সড়ক ও বাজারে বেশ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ ও পূজারীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল বহর বা অন্য কোনো যানবাহনে শোডাউন না করতে কঠোরভাবে নির্দেশনা রয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলসহ সব পর্যায়ের কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় বিএনপি। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় এই নির্দেশ আমলেই নেননি বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। 

তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলাই উত্তম। এভাবে দলের সিনিয়র নেতারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তৃণমূলে বিএনপির রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মোটরসাইকেল শোডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমাদের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন চলছে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের নেতাকর্মীরা পূজামণ্ডপে যাওয়ার সময় পরিবহন ব্যবহার করেছে। এটা কোনো মোটরসাইকেল শোডাউন বা শোভাযাত্রা নয়। কোনো ব্যক্তির শোডাউন হচ্ছে না। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সনাতন ধর্মালম্বী ভাইদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গিয়েছি।

জানতে চাইলে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম পরে কথা বলব বলে ফোন রেখে দেন।

ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/জেবি/এফএ