বার্সেলোনার সঙ্গে ম্যাচ চান সাফজয়ী ফুটবলার কৃষ্ণা
নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা একটি অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার।
সামাজিক ব্যবসার ধারণা দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস ২০১৬ সালে গিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবটিতে। ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে তার নাম লেখা একটি বিশেষ জার্সি পরেছিলেন। বার্সেলোনার সঙ্গে ড. ইউনুসের সু সম্পর্কের কথা জানা বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকারের।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সদ্য সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সবাই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তাদের স্বপ্ন এবং তাদের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা ভাগাভাগি করেন।
সেখানেই জাতীয় দলের উইঙ্গার কৃষ্ণা রানী প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন, এশিয়ার বাইরে তাদের জন্য একটি প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করতে। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বজয়ী বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলতে চান মেয়েরা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজয়ী খেলোয়াড়দের দাবিগুলো মনোযোগের সঙ্গে শুনেছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা স্বাগত বক্তব্যে খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে বলেন,‘এই সাফল্যের জন্য আমি গোটা জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের অভিনন্দন জানাই। জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়। আপনারা আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছেন।’
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের নারীদের সামগ্রিকভাবে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’
একই সঙ্গে সাবিনা বাংলাদেশের নারী ফুটবলে তার আগের প্রজন্মের অবদানের কথা স্মরণ করেন, যারা ফুটবলকে তাদের আবেগ হিসেবে নেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন। সাবিনা বলেন, ‘তাদের মধ্যে অনেকেই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে এসেছেন এবং তাদের পরিবারকে সমর্থন করার দরকার। আমরা যা বেতন পাই, তা দিয়ে পরিবারকে পর্যাপ্ত সহায়তা করতে পারি না। কারণ, আমরা বেশি কিছু পাই না।’
(ঢাকাটাইমস/ ০২ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন