ফরহাদ মজহার অপহরণ: রিভিশন মামলার আদেশ ২৭ নভেম্বর

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭| আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:০২
অ- অ+

কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার অপহরণের মামলা মিথ্যা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশ। সেটির বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করার সুযোগ না দেওয়ার রিভিশন মামলার আদেশের দিন আগামী ২৭ নভেম্বর ঠিক করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম শুনানি শেষে আদেশের এ তারিখ ঠিক করেন।

রিভিশনকারী ফরহাদ মজহারের স্ত্রী মানবাধিকার কর্মী ফরিদা আখতারের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদন মেজবাহ রিভিশন মঞ্জুর করে নারাজি দাখিলের আদেশ দেওয়ার আবেদন করেন।

২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর ফরহাজ মজহার অপহরণ মামলায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম অপহরণের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সঙ্গে মিথ্যা অপহরণের মামলা করে বিভ্রান্ত ও হয়রানির করার অভিযোগে ওই ফরহাদ মজহার দস্পতির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলা দায়েরের অনুমতি প্রার্থনা করেন। ওই বছর ৭ নভেম্বর নারাজি দাখিলের জন্য বাদী পক্ষের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিলের অনুমতি দেন। ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী মানবাধিকার কর্মী ফরিদার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। নারাজি দাখিলের সুযোগ না দেয়ায় রিভিশন মামলাটি দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ফরহাদ মজহার ২০১৭ সালের ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলী এলাকার বাসা থেকে বের হওয়ার পর অপহরণ হন বলে আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন আলোচিত এই ব্যক্তির স্ত্রী মানবাধিকার কর্মী ফরিদা আখতার। পুলিশ প্রথমে ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে খুলনায় তার অবস্থান শনাক্ত করে। পরে খুলনার পরিচিত একটি রেস্টুরেন্টে তিনি খাবার খেয়েছিলেন বলে প্রমাণ পায়। এরপর খুলনা থেকে ঢাকার পথে একটি বাসে মিস্টার গফুর নামে টিকিট কাটেন ফরহাদ মজহার। যশোরের অভয়নগর এলাকায় বাসে তল্লাশি চালিয়ে রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে সকালে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় তাকে। পরে আদাবর থানা থেকে ওই বছর ৪ জুলাই দুপুরের দিকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয় ফরহাদ মজহারকে। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন মর্মে জবানবন্দি দেন। এরপর আদালত তাকে নিজ জিম্মায় বাড়ি ফেরার অনুমতি দেন। এরপর মামলাটিতে গত ৬ জুলাই নাজমুস সাদাত সাদী হানিফ পরিবহনের এক কর্মচারী এবং গত ১০ জুলাই অর্চনা নামে এক নারী সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি প্রদান করেন।

ফরিদা আখতারের করা মামলায় বলা হয়, আমার স্বামী সাধারণত খুব ভোরে ঘুম থেকে জাগেন এবং লেখালেখি করেন। সকাল ৫টার দিকে আমার ঘুম ভাঙার পর আমি ওনাকে লেখার টেবিলে না দেখতে পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি এবং সারা ঘরে খুঁজতে থাকি। ইতোমধ্যে সকাল ৫টা ২৯ মিনিটে আমার স্বামী তার ফোন থেকে আমাকে কল দেন। তিনি ভয়ার্ত কণ্ঠে বলেন, ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে, মেরে ফেলবে। এর পর ফোনটি কেটে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই সারা দিনে ফরহাদ মজহারের ফোন থেকে আরও চারবার কল পান ফরিদা। সেসব ফোনালাপে ফরহাদ মজহার জানান, অপহরণকারীরা ৩৫ লাখ টাকা চেয়েছে; ওই টাকা পেলে তারা তাকে ছেড়ে দেবে।

ঢাকাটাইমস/০৪নভেম্বর/ইএস

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মাদারীপুরে সিমেন্টভর্তি ট্রাকের চাপায় নারীর মৃত্যু
গিনিতে ফুটবল মাঠে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত প্রায় ১০০
আমু-কামরুলকে বুধবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিয়ে বড়োসড়ো প্রশ্ন সোহেল তাজের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা