বিপ্লবের ১০০ দিন পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের প্রয়োজন কেন, প্রশ্ন মঈন খানের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১০০ দিনের মাথায় সরকার কেন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। এখানে কোনো আইনের প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর মোমিনবাগে ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে দ্য মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ১০০ দিন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে বিগত সরকার পতনের পর গত ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি সরকার তার সময়কার কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না- এমন বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায়।
ড. মঈন খান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে ১০০ দিন হয়ে গেছে। এই সময়ে এসে সরকার কেন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল? তাদের যে ভিত্তি ‘ডকট্রিন অর নেসেসিটি’ দিয়েই নির্ধারিত হয়ে গেছে। এখানে কোনো আইনের প্রশ্ন তোলা অবান্তর। তাহলে কি এ সরকার তিন মাস পরে এসে কোনো কারণে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন বা চিন্তিত?’
অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার ম্যান্ডেট নিয়েই এসেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘ছাত্রজনতার প্রত্যাশা এ সরকারের মূল দায়িত্ব হলো বাংলাদেশকে স্বৈরশাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসনে রূপান্তরিত করা। জনগণ আশা করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব তুলে দেবেন।’
এ দায়িত্ব পালনে দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, ‘সুতরাং এ সরকারকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার জন্য কোনো ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের শক্তিতে বলীয়ান এবং একটি নৈতিক দায়িত্ব পালনে দেশবাসীর আহ্বানে তারা এগিয়ে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব গর্ভনেন্স অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকারের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ-অধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণফোরামের একাংশের মহাসচিব সুব্রত চৌধুরী, প্রফেসর রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ড. অভিনয় চন্দ্র সাহা, প্রফেসর সাজ্জাদুল হক, প্রফেসর হুমায়ুন পাটোয়ারী, শামসুল আলম লিটন, শাখায়াত হোসেন শান্তা প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/জেবি/মোআ)
মন্তব্য করুন