সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রী পরিষেবা বাড়াচ্ছে সৌদিয়া
বাংলাদেশে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ফ্লাইট পরিষেবা দিয়ে আসা সৌদিয়া তাদের যাত্রী পরিষেবা আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সৌদি আরবের জাতীয় পতাকাবাহী এই বিমান পরিবহন সংস্থাটি সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে।
১৯৮০ সালে ঢাকায় উদ্বোধনী ফ্লাইট চালু করেছিল সৌদিয়া। এর মধ্য দিয়ে এয়ারলাইন্সটি সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ প্রদান করে। বর্তমানে তারা ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ এবং মদিনার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে সপ্তাহে একাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
সৌদি ভিশন ২০৩০ এর অন্যতম অংশ পর্যটন। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৩০ মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশি যাত্রীকে স্বাগত জানাতে চায়। সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকে শক্তিশালী করতে সৌদিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেজন্য এরইমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগও নিয়েছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স। ডিজিটাল রূপান্তর কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সৌদিয়া ট্রাভেল কম্প্যানিয়নের বিটা সংস্করণ চালু করেছে। এটি একটি এআই-চালিত প্ল্যাটফর্ম। এর ফলে যাত্রীদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় নতুনত্ব যুক্ত হয়েছে।
এই উদ্ভাবনী পরিষেবাটি ব্যক্তিগতকৃত সমাধান অফার করে, যা ভ্রমণকারীদের বিশ্বস্ত প্রদানকারীদের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে হোটেল, পরিবহন বুকিং করতে সক্ষম। অর্থাৎ যাত্রীকে একটি মসৃণ এবং সুবিধাজনক যাত্রার বিষয় নিশ্চিত করতে এই প্ল্যাটফর্ম কাজ করে।
এছাড়াও সৌদিয়া তার আলফুরসান লয়্যালটি প্রোগ্রামকে নতুন করে সাজিয়েছে। ফলে সদস্যদের পুরষ্কার পরিচালনা করা, মাইলেজ ট্র্যাক করা এবং সদস্য পদের স্তর আপগ্রেড করা সহজ হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/ডিএম)
মন্তব্য করুন