সোহরাওয়ার্দী ছিলেন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলার শেষ ও পাকিস্তানের সাবেক পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বলেছেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। সাধারণ মানুষের প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ।’
তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে এবং এ অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের সব সময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়। জাতি এই মহান নেতার অবদান সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর মারা যান বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূলনেতাদের অন্যতম ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু উপাধী পাওয়া শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক গুরু ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন