পাবনায় ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ভিড়
হাড় কাঁপানো শীতে পাবনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। মাঘের শুরু থেকেই কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জেলা পাবনা। সূর্যের দেখা না মেলায় কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে প্রকৃতি। কয়েক দিনের শীতে জনজীবন স্থবির হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও নেমে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষজন ভিড় করছেন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।
পাবনায় এখন দেখা মিলছে না রোদের। দিনভর থাকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা। ফলে সূর্যও উঁকি দিতে পারছে না। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা গ্রহণ করছেন।
অপরদিকে, তাপমাত্রা কমার প্রভাব দেখা যাচ্ছে শহরের বিপণি বিতান ও ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়, হাত-পা মোজা, টুপি, মাফলার, জ্যাকেট কিনতে অনেকেই সেখানে ছুটছেন।
পাবনা নিউ মার্কেটে গরম কাপড় কিনতে আসা রাবেয়া আক্তার বলেন, সোয়েটারের ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। বিশাল দাম হাঁকিয়ে বসে থাকেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস থেকে মো. হেলাল উদ্দিন জানান, সার দেশের মতো পাবনাতেও তাপমাত্রা কমছে। এ রকম আরও কয়েক দিন থাকবে।
অপরদিকে, পাবনায় অগ্রহায়ণ মাসে থেকেই জেঁকে বসেছে শীত। এতে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। আর শীত নিবারণের জন্য দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালকসহ স্বল্প আয়ের মানুষজন ভিড় করছেন ফুটপাতে। অল্প দামে গরম কাপড় কিনতে নারী-পুরুষ বয়স্ক সব বয়সী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ফুটপাতের এসব অস্থায়ী দোকানগুলোতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাবনার নিউ মাকের্ট সহ শহরে রাস্থার দুই পাশে বিভিন্ন জায়গায় দোকানিরা বসেছেন কম দামের শীতের জামাকাপড় বিক্রির জন্য। সেসব দোকানে দেখা গেছে ছোট বড় সব বয়সীদের শীতের জামা। নিম্ন আয়ের মানুষজন এসব দোকান থেকে পছন্দ অনুযায়ী জামা-কাপড় কিনছেন।
(ঢাকা টাইমস/১২ডিসেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন