ঐক্যবদ্ধ ঘোষণাপত্রে দেশের একতা দেখানো যাবে বিশ্বকে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই ঘোষণাপত্র ঐক্যবদ্ধভাবে করতে না পারলে সেটির উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র সর্বসম্মতভাবে তৈরি হলে তা শুধু দেশের জন্যই ভালো নয়, পুরো বিশ্বকে দেশের একতা দেখানো যাবে।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শুরু হওয়া বৈঠকে সূচনা বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশবাসী যে ঐক্য দেখিয়েছিল, সেই একতার ফলাফল অন্তর্বর্তী সরকার। একতাতেই আমাদের জন্ম, একতাই আমাদের শক্তি। ঐক্যের মাঝে এ সরকারের জন্ম হয়েছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন আমরা একা-একা কাজ করি এবং হঠাৎ দেখি আপনারা আমাদের পাশে নেই, তখন আমরা দুর্বল মনে করি। যখন সবাই একসাথে হন তখন সাহস পাই।’
এসময় প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা গত ৩১ ডিসেম্বর জুলাই ঘোষণাপত্র জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওইদিন ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
‘মার্চ ফর ইউনিটি’ নামে সেদিন ওই সমাবেশটি হলেও ঘোষণাপত্র নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হওয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
পরে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই ঘোষণাপত্র জারির ক্ষেত্রে ফ্যাসিলিটেট করবে সরকার। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্ররা এসে বলল যে তারা ঘোষণাপত্র দেবে ৫ আগস্টে ফিরে যেতে চায় এবং সেদিন যা ঘটেছিল তার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। তখন আমরা বললাম এটা করা যাবে না, একা করা যাবে না। এর জন্য সবাইকে নিয়ে করতে হবে। পরে তারা বুঝল এবং পরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার ধারণা থেকেই সংলাপের আয়োজন।’
‘যতদিন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন ঐক্য বজায় রাখতে চাই, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব আমাদের সেই সাহসটা আমাদের দেন।’
জুলাই ঘোষণাপত্রের গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি এটা সর্বসম্মতভাবে তৈরি করা যায়, তাহলে তা শুধু দেশের জন্যই ভালো হবে না, পুরো বিশ্বের কাছে দেশের একতা তুলে ধরা যাবে। এর সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সবার কাছে জাতি হিসেবে বাংলাদেশের শক্তি সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/ডিএম)

মন্তব্য করুন