সালমান এফ রহমানের গুলশান-দোহারের জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোক করল সিআইডি

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর (এফ) রহমানের ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
বৃহস্পতিবার সিআইডি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন দুইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড ২১টি এলসির মাধ্যমে দুবাইয়ে অবস্থিত তার ছেলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং এফজেডই’ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অর্থ পাচার করে। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দুই কোটি ৬০ লাখ ৯৮৪ ইউএস ডলারের পণ্যমূল্য রপ্তানি করে এই অর্থপাচার করা হয়েছে। এ নিয়ে মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত চলছে।
সিআইডি বলছে, ‘এজাহারনামীয় আসামিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে। তাই আসামিদের নামে ঢাকার দোহার থানা এলাকায় থাকা প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি এবং জমির ওপর নির্মিত স্থাপনা, গুলশান-২ নম্বরের The Envoy 84 ভবনে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে ৬ হাজার ১৮৯ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশান আবাসিক এলাকার ৬৮/এ নম্বর সড়কের ৩১ নম্বর প্লটের ওপর নির্মিত ট্রিপ্লেটস নামে ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার (পূর্ব মধ্য দিকের বি ১/২ (ডুপ্লেক্স) ২ হাজার ৭১৩ বর্গফুটের আরও একটি ফ্ল্যাট আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়েছে। এসব সম্পদের বর্তমান মূল্য ২৫০ কোটি টাকা।’
উল্লেখ্য, ট্রেড বেইসড মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ৮৩ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগে সালমান এফ রহমান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এসএস/এমআর)

মন্তব্য করুন