মুলতানে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন নোমান আলী

ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনেই দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন পাকিস্তানের স্পিনার নোমান আলী। পাকিস্তানের প্রথম স্পিনার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করার বিরল রেকর্ড গড়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
কেভিন সিনক্লেয়ারের ব্যাট থেকে আসা ক্যাচ ধরে বাবর আজম একাই উচ্ছ্বাসে ভাসলেন। কিন্তু উইকেটকিপারসহ ফিল্ডাররা ছুটে গেলেন নোমান আলীর দিকে। ছোট্ট দৌড় দিয়ে নোমান বাতাসে ঘুষি ছেড়ে উদযাপন করলেন। কারণ, পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।
নোমান আলী তার হ্যাটট্রিক শুরু করেন জাস্টিন গ্রিভসকে বাবরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর তেভিন ইমলাচকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। আর হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন কেভিন সিনক্লেয়ারকে শর্ট ফরোয়ার্ডে ক্যাচ বানিয়ে। এই রেকর্ড হ্যাটট্রিকের কারণে ৪ উইকেটে ৩৮ রানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুহূর্তেই ৭ উইকেটে ৩৮-এ পরিণত হয়।
টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে এটি ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। তবে আগের পাঁচটি হ্যাটট্রিকই ছিল পেসারদের। পেসার নির্ভর পাকিস্তানের ক্রিকেটে নোমানের এই স্পিনিং কীর্তি অনন্য।
পাকিস্তানের মাটিতে হ্যাটট্রিকের ঘটনা খুবই বিরল। ১৯৭৬ সালে লাহোরে নিউজিল্যান্ডের পিটার প্যাথেরিক প্রথমবারের মতো এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। এরপর ২০০৩ সালে পেশোয়ারে বাংলাদেশের অলক কাপালি লেগ স্পিনে হ্যাটট্রিক করেন।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে আগের পাঁচটি হ্যাটট্রিকের মধ্যে দুটি ছিল কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের। ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লাহোর ও ঢাকায় দুটি হ্যাটট্রিক করেছিলেন আকরাম। এর বাইরে আবদুল রাজ্জাক (২০০০) ও মোহাম্মদ সামি (২০০২) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই হ্যাটট্রিক করেন। সর্বশেষ ২০২০ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে নাসিম শাহের হ্যাটট্রিকও ছিল পেস বোলিংয়ের।
৩৮ বছর বয়সী নোমান আলীর এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক ব্যর্থ হন। নোমানের হ্যাটট্রিকের পর তাদের স্কোর ৮ উইকেটে ৬৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায়।
(ঢাকাটাইমস/২৫ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন