জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা, ২ পুলিশসহ আহত ৫

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০১| আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০৫
অ- অ+

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে ক্ষেতলাল থানায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন— পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম (২৭), বগুড়ার শাহজাহানপুরের রফিক (৩৭) ও আব্দুল মমিন (৩৮)। আহত দুই পুলিশ সদস্য কাজী জাফর ও সুমন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা তিনজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে শতাধিক লোক থানা আক্রমণ করে। দায়িত্বরত ২ পুলিশ সদস্য বাধা দিলে তাদের মেরে আহত করে থানা অবরুদ্ধ করে।

পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। তবে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।

খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কালাই থানা পুলিশের শতাধিক সদস্য থানায় অবস্থান নেয়।

আহত রফিক সাংবাদিকদের জানান, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন জমি রেজিস্ট্রির জন্য ক্ষেতলাল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। এসময় স্থানীয় পৌর বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপিকর্মী মাসুদ চৌধুরী, গোলাম মওলা ও জুয়েল সেখানে উপস্থিত হয়ে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে তারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ সেখানে উপস্থিত হয়ে চাঁদা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। তাকে বাধা দিতে গেলে তোফাজ্জল হোসেনসহ আমাদের চারজনকে মারপিট করে রক্তাক্ত করে।

এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আমাদের মধ্য থেকে গুরুতর আহত তোফাজ্জলকে পুলিশ থানা থেকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। পরে আমাদের থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করার জন্য এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে না দেওয়ার জন্য পার্থের নেতৃত্বে থানায় হামলা করা হয়।

ঘটনার পর সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে আহত হন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি তাদের বিতাড়িত করতে এসে সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের শিকার হই।’ তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সত্য ঘটনা তুলে ধরবেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, ‘দলের যে কেউ হোক, যে অপরাধ করবে তার বিচার হবে।’

ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘তিনজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। আগামীকাল (বুধবার) বিস্তারিত জানানো হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর লক্ষ্য সরকারের: ড. খলিলুর রহমান
সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর ২ সদস্য আটক
বাঞ্ছারামপুরের শারীরিক নির্যাতনের শিকার শিশুর খোঁজ নিলেন তারেক রহমান  
কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা বাংলাদেশের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা