সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহতদের দাফন-সৎকার

গোপালগঞ্জে দফায় দফায় এনসিপি নেতাদের সঙ্গে হামলা-সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত চারজনের কারোর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়নি; রাতেই তাদের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে বুধবার (১৬ জুলাই) রাতেই পৌর মহা শ্মশানে সৎকার করা হয়। এদিন রাতে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজীকেও এশার নামাজের পর দাফন করা হয়।
এ ছাড়া জানাজা শেষে ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদার ও মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বুধবার (১৬জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলা-সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা। সংঘর্ষে নিহত হন চারজন। আরও অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন: শহরের থানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫), উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০) কোটালীপাড়া উপজেলার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৯) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন তালুকদার (২৪)।
পরিবারের দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন তারা। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকার উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক রেজা বলেন, এ ঘটনায় পর্যায়ক্রমে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এসব বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে অন্যান্য প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এলকে)

মন্তব্য করুন