ঘাটাইলে পানিশূন্য পুকুরে প্রায় ৭ লাখ টাকার ঘাট নির্মাণ 

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২০ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫২
অ- অ+

পুকুরের নেই অস্তিত্ব, তারপরও নির্মাণ করা হয়েছে পুকুরের ঘাট। এমন ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের চুংলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি অবাক করার মত হলেও ঘটনা সত্য। পুকুর না থাকায় ঘাটটি কোনই জনকল্যাণে কাজে আসছে না। এতে সরকারের প্রায় ৭ লাখ টাকা অপচয় হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।

এলাকাবাসী বলছে, এই জায়গায় ব্যাঙের চাষ করা গেলে ফলন ভালো পাওয়া যেত। অযথাই নষ্ট করা হয়েছে সরকারের লাখ লাখ টাকা। এর অর্ধেক টাকা দিয়ে ডোবাটা ভরাট করে দিলে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারত। আশপাশে অনেক শিশু রয়েছে ঘাট থেকে পড়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পে চুংলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুকুরে ঘাট নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। সম্প্রতি শেষ হয়েছে নির্মাণ কাজ। কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের মনে ছিল কৌতূহল।

চুংলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমা রানী দাস বলেন, স্কুলের পাশে এটি পুকুর নয়, ডোবা। চারপাশের বাড়ির ময়লা পানির আশ্রয়স্থল এটি। জমির পরিমান তিন শতাংশ হবে। এখানে সরকারিভাবে ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। ২৪ সালের এপ্রিলে আমি এ স্কুলে যোগদান করেছি। এর আগেই ঘাটের বরাদ্দ পাওয়া যায়। বাচ্চাদের খেলার কোনো জায়গা নেই। ভরাট করা গেলে বরং ভালো হতো। এ ঘাট কোনো উপকারে আসছে না, আর আসবেও না। বরং হতে পারে স্কুলের বাচ্চাদের জন্য বিপদের কারণ। তাঁর ভাষ্য, ওই সময় এটার দায়িত্বে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.ইয়াসার হোসেন সিদ্দিকী। তিনি জানান, তাঁর দায়িত্বের সময় একদিন ঘাটাইলের উপসহকারী প্রকৌশলী খালিদ নামে একজন এসে বললেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রকল্প আছে আপনারা ইচ্ছা করলে গ্রহণ করতে পারেন। এ কথা শুনে ডোবার বাউন্ডারি করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পরে প্রকৌশলী একটি ফরম দেন। সেখানে সই করতে বলেন তিনি। প্রকৌশলীর কথামতো সই করে দেন। এরপর জানতে পারেন ঘাট নির্মাণের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ফজলুর রহমান বলেন, আমি যোগদান করার আগেই ঘাটের ফাইনাল কাজ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি স্কুল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুয়ায়ী নাকি এ প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। তবে ওইখানে ঘাটটা করা ঠিক হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আবু সাঈদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকল্প দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সচেতন হতে হবে। জনগুরুত্ব পাবে এমন জায়গায় প্রকল্প দিতে হবে। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি, ওইখানে ঘাট নির্মাণ না করে এই টাকা অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করার সুযোগ ছিল।

(ঢাকা টাইমস/২০জুলাই/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টেকনাফে বিজিবির হানা: আইস ও পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার
‘সহযোদ্ধা’ ও ‘জাস্টিস ফর কমরেডস’–এর সদস্যরা জড়ালেন ডাকাতিতে!
সোমবার যাত্রাবাড়ীতে পালিত হবে ‘মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে ২০২৫’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান ৫০ শতাংশ: ভিসি আমানুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা