তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে অধিকাংশ দল একমত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতির বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন,
আজ রোববার (২০ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৫তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, আজ আলোচনার প্রথমার্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। আলোচনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দলের মতামতের আলোকে কমিশন সভা করে দলগুলোর কাছে পুনরায় একটি সংশোধিত সমন্বিত প্রস্তাব দেয়।
প্রস্তাবটিতে বিস্তারিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং এই প্রস্তাবের অধিকাংশ বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে। এই খসড়া প্রস্তাবটির ওপর ভাষাগত ও খুঁটিনাটি দিক পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর আগামীকালের মতামত প্রদানের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।
উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা নিয়ে কোনো ভিন্নমত নেই উল্লেখ করে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, উচ্চকক্ষ কীভাবে হবে তা নিয়ে দুটি ভিন্ন প্রস্তাব আছে। রাজনৈতিক দলগুলো এ ব্যাপারে কমিশনের কাছে দায়িত্ব অর্পণ করার মতামত দিয়েছে। কমিশন ইতোমধ্যে উচ্চকক্ষ বিষয়ে বৈঠক করেছে। উচ্চকক্ষ কীভাবে হবে তা নিয়ে কমিশন আরেকটু সময় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং বাকী দিনগুলোর আলোচনায়ও আরও কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকলে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন।
(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন