হালকা শীতেই আলফাডাঙ্গায় পিঠা বিক্রির ধুম, গরুর বটও রমরমা

রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর)
  প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:০৪
অ- অ+

গ্রামাঞ্চলে শীত নামছে। যদিও এখনো জেঁকে বসেনি শীত, তবে মন কাড়ছে হরেক রকম শীতের পিঠার স্বাদ। পিঠা আর শীতের চিরায়ত মেলবন্ধনের কারণেই বুঝি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা জুড়ে হালকা শীতেই জমে উঠেছে হরেক রকম পিঠার বেচাকেনা।

সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে, মোড়ে মোড়ে অস্থায়ী চুলার পাশে ওড়ে গরম গরম পিঠার ধোঁয়া। তার চারপাশ ঘিরে পিঠার রসনাবিলাসীদের ভিড়। পাশেই অন্য দোকানে মসলাদার লোভনীয় বটের রমরমা বিক্রি।

আলফাডাঙ্গার পৌর সদর বাজার, গোপালপুর, পাড়াগ্রাম বাগের মোড়, জয়দেবপুর, বেড়িরহাট, হেলেঞ্চা বাজারে ও রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে পিঠা বিক্রি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। চিতই, ভাপা, গরুর বট, বটের টিকা বিক্রি হচ্ছে দেদার। আশপাশের এলাকা থেকেও পিঠাপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পিঠা খেতে।

বিকেল থেকেই পিঠা বানানোর নানা সরঞ্জাম নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীদের। ইদানীং গ্রামাঞ্চলেও হাটে-বাজারে পিঠা কেনাবেচা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার পিঠা ব্যবসায়ীরা ঢাকা টাইমসকে জানান, শীতের সময় মৌসুমি এসব পিঠার অন্য রকম কদর ক্রেতাদের কাছে। তবে এবার শীতের শুরুতেই পুরোদমে জমে উঠেছে পিঠার বেচাকেনা।

পাড়াগ্রাম বাগের মোড়ের পিঠা ব্যবসায়ী সাইফুল জানান, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল, চালের গুঁড়া ও অন্যান্য কিছু উপকরণ দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। সাইফুল প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেন।

পিঠার পাশাপাশি গরুর বট ও বটের টিকা বিক্রিও বেশ রমরমা। হেলেঞ্চা গ্রামের হাকিম প্রতিদিন বিকেলে পাড়াগ্রাম মোড়ে তার পসরা সাজান। তাওয়ার তেলে মসলাদার বট ভাজা চলতে থাকে, গরম গরম কিনে খান ক্রেতারা। প্রতি প্লেট বট ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

বট ও বটের টিকা বিক্রি করে ভালোই আছেন হাকিম। দিনে অটোভ্যান চালান, আর শেষ বিকেলে বট বিক্রির অস্থায়ী দোকান। প্রতিদিন তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকার বট ও টিকা বিক্রি করেন তিনি।

পিঠা্য় ফিরে আসি। চিতই পিঠার রসনা বাড়াতে সঙ্গে থাকে ধনেপাতা বাটা, মরিচবাটা, সরষেবাটা, শুঁটকিবাটা। যার যা পছন্দ, পিঠায় মেখে তুলে নেন মুখে। এখন চিতই পিঠার এক একটির দাম ১০ টাকা।

আছে গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি ভাপা পিঠা, দাম ১৫ টাকা।

বিকেল থেকে শুরু হয় বিক্রি। রাত বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। সন্ধ্যার পর দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি।

শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে বলে এই সময় কিছুটা সচ্ছলতা আসে সংশ্লিষ্ট দোকানিদের। শীত চলে গেলে তারা ফিরে যান অন্য পেশায়।

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বের দুই বৃহত্তম বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান
সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: তারেক রহমান
সাইবার আইনে মামলা করলেন সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা: চবির ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা