ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁদা না পেয়ে হামলা, একই পরিবারে আহত ১১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে আট লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ১১ জন আহত হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের পাঠান পাড়ার খন্দকার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরিবারটির অন্য সদস্যরা হামলার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন।
হামলায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সুহিলপুর গ্রামের খন্দকার বাড়ির নজরুল খন্দকার বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে একই এলাকার জুলকান বাধা দেন। বিভিন্ন সময় লোকজন নিয়ে নির্মাণকাজে বাধা ও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। পরে বাড়ির কাজ করতে হলে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে জুলকান।
এ ঘটনায় গত ৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় চাঁদা দাবির অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার। এর জের ধরে গত শনিবার বিকেলে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়।
আজ সকাল ৯টার দিকে জুলকানের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নজরুল খন্দকারের বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের হামলার মামুন খন্দকার (৫৫), বুলবুল খন্দকার (৪৭), মাসুম খন্দকার (২২), ইসরাত জাহান (৩৮), সোমা বেগম (৩৫), পায়েল খন্দকার (৩৫), শফিক (৪০), মাহিন খন্দকার (১৬), ইফরান খন্দকার (২০), পাভেল খন্দকার (৩০), রুনা বেগম (৪০) আহত হন। গুরুতর আহত মামুন খন্দকার ও বুলবুল খন্দকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন