আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভৈরবে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি চন্দন (৩৮) গ্রেপ্তার হলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব পুলিশের হাতে।
বুধবার দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার রেলওয়ে স্টেশন থেকে চন্দনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার ১নং আসামি চন্দন। ট্রেন থেকে নেমে তার ভৈরবের মেথরপট্টিতে অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে তাকে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন মিয়া জানান, ‘ঘটনার পর মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম ডিবি গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়, তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। পরে এ খবর আমাদেরকে জানানো হলে পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’
ওসি আরও জানান, ‘চন্দন রাত সাড়ে ৭টায় ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন। ট্রেন থেকে নেমে তিনি স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল রাত গভীর হলে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেবে। এরই মধ্যে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। বিষয়টি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তাকে সেখানে হস্তান্তর করা হবে।
সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গত ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পরদিন চট্রগ্রাম আদালতে নেওয়ার পর থেকেই সেখানে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে চিন্ময় অনুসারীরা। বিভিন্ন স্লোগানে তারা বিক্ষোভ করতে শুরু করে। চিন্ময়কে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালত এলাকার অদূরে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। তারই মাঝে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে।
(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন