উত্তরায় ছিনতাই হওয়া মালামালসহ চক্রের দুইজন গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আশরাফুল হক খান তুষার ও রাকিব হাসান আরফিন।
মঙ্গলবার পৃথক দুই অভিযানে উত্তরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
বুধবার বিকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।
তিনি জানান, গত সোমবার রাত ৪টার দিকে মো. শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী বাসে করে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এসময় তারা মাস্কট প্লাজার সামনে যাওয়ার সময় দুইজন দুষ্কৃতিকারী সিএনজি থেকে নেমে তাদের স্ত্রীকে ধারালো চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা ২টি মোবাইল ফোন, একটি ম্যানিব্যাগ (যাতে ছিল মালয়েশিয়ান ৩৭০ রিংগিত, মালয়েশিয়ান ওয়ার্ক পারমিট কার্ড, তিনটি ভিসা কার্ড, নগদ দুই হাজার আটশত টাকা ও একটি ১০০ ডলারের নোট) এবং একটি ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।
এই বিষয়ে ভিকটিম শহিদুল্লাহর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। এরপর মঙ্গলবার বিকালে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টেরের ৪ নম্বর রোড়ের একটি বাসা থেকে আশরাফুল হক খান তুষার ও একই দিন রাতে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টেরের ২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে রাকিব হাসান আরফিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা রওনক জাহান জানান, গত ১৮ আগস্ট তিনি উত্তরা বিভাগের ডিসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ছিনতাই প্রতিরোধে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার নির্দেশনায় উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ২৪ জন ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার ও ২২০ সেট শর্ট রেঞ্জ টকিং ওয়াকিটকি, ১২২ টি মোবাইল ফোন, ৩১টি হাতঘড়ি এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ দেশি এবং বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে। বিমানবন্দর থানা পুলিশ মোট ১২৩ জন ছিনতাইকারী, ৭ জন মলম পার্টি, ৪ জন অজ্ঞান পার্টি, ৯ জন টানা পার্টি, ৮ জন পকেটমারসহ সর্বমোট ১৫১ জনকে এবং উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ ৫৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া উত্তরা বিভাগ ছিনতাই প্রতিরোধে দৃশমান পুলিশিং ছাড়াও ছিনতাইয়ের হটস্পট ও বিভিন্ন ছিনতাইকারী গ্রুপ শনাক্ত এবং মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।
(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এলএম)
মন্তব্য করুন