প্রিজনভ্যানে চিন্ময় কৃষ্ণকে পুলিশের হ্যান্ডমাইক দিল কে?
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে আটক করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানো আদেশ দিলে শুরু হয় গন্ডগোল। ইসকন থেকে বহিস্কৃত চিন্ময়ের অনুসারীরা আদালতে হাঙ্গামা শুরু করে। চিন্ময়ের অনুসারীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে। এখন প্রশ্ন আসছেম চিন্ময় কৃষ্ণের হাতে পুলিশের হ্যান্ডমাইক দিলো কে? কারণ, হ্যান্ডমাইক পাওয়ার পর তার উসকানিতেই আদালতে তান্ডব চালায় চিন্ময়ের অনুসারীরা।
এই চিন্ময় কৃষ্ণের হ্যান্ডমাইক ব্যবহারের একটি ছবি পোস্ট করে প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি লিখেছেন, “এমন দৃশ্য কখনো দেখেছেন? পুলিশের হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে সমর্থকদের নির্দেশ দিচ্ছেন সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী! প্রিজনভ্যানের ভেতর থেকে পুলিশের হ্যান্ডমাইকে তিনি বক্তব্য দেন। এই ব্যক্তির উসকানিতেই সম্প্রতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কিন্তু কে তাকে প্রিজনভ্যান থেকে পুলিশের হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করতে দিল? কেন দিল?”
এই সাংবাদিকের দেওয়া পোস্টে এমডি সাকিব কমেন্টসে লিখেছেন, “কর্তব্যরত পুলিশের ব্যাক রাউন্ড বের করা হোক। কার স্বার্থে কে বা কারা এমনটা করছে গভীরভাবে গোয়েন্দা তদন্তে ক্ষতিয়ে দেখা হোক। এগুলো এড়িয়ে যাওয়ার বিষয় নয়।”
নামিজ মাহমুদ লিখেছেন, “তাহলে এই হত্যাকাণ্ড ও দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও জড়িত ছিল.. নইলে একজন আসামি কীভাবে পুলিশের মাইক ব্যবহার করে?”
সিফাত আল সোহেল লিখেছেন, “পুলিশের মধ্যে থাকা আওয়ামী পন্থি অফিসারগুলোও এসবের মধ্যে যুক্ত আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে এখনি।”
এদিকে সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ইসকন বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএফআইইউয়ের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এসএস/এফএ)
মন্তব্য করুন