পারমাণবিক শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কে এগিয়ে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২৫, ১৫:৫৫
অ- অ+

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কাশ্মীর অঞ্চল। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই ভূখণ্ড নিয়ে দুটি যুদ্ধ করেছে। দুই দেশই এই অঞ্চলের পুরোটা নিজেদের দাবি করে, তবে নিয়ন্ত্রণ করে আংশিকভাবে। চীনও এই অঞ্চলের কিছু অংশে শাসন পরিচালনা করে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সামরিকায়িত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান দুদেশের সম্পর্কে আগুন লেগেছে আবার নতুন করে। যে আগুনে জ্বলছে দুদেশ, ইতিমধ্যে সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে নিচ্ছে পাল্টাপাল্টি সব কঠিন সিদ্ধান্ত। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ লেগেই যায় সেক্ষেত্রে সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে? কার কাছেই বা কি পরিমাণ রসদ রয়েছে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার।

২০২৫ সালের র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের প্রকাশিত পাকিস্তানের চেয়ে সামরিক শক্তিতে ঢের এগিয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির ভারত।

সামরিক শক্তিমত্তায় ভারতের বর্তমান অবস্থান বিশ্বে ৪ নম্বরে। আর পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থান ১২ তম। যদিও এই র‌্যাঙ্কিংই সব শক্তিমত্তার প্রমাণ দেয় না। কারণ, এর বাইরেও কৌশলগত কিছু বিষয় রয়েছে।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্যমতে, বর্তমানে ভারতের হাতে রয়েছে ২০১টি যুদ্ধ ট্যাঙ্ক।

এর পাশাপাশি এক লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪টি বিভিন্ন ধরনের সামরিক যান, ১০০টি স্বচালিত আর্টিলারি এবং ২৬৪টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম এমএলআরএস রয়েছে ভারতের ভান্ডারে।

পক্ষান্তরে পাকিস্তানের কাছে রয়েছে ৬২৭ টি যুদ্ধ ট্যাঙ্ক যা সংখ্যায় ভারতের চেয়ে তিনগুনেরও বেশি। এর সাথে আরও রয়েছে ১৭ হাজার ৫১৬টি সামরিক গাড়ি, ৬৬২টি স্বচালিত আর্টিলারি এবং ৬০০টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম। সবকিছু মিলে স্থলভাগের যুদ্ধ সারঞ্জাম ভারতেরই বেশি। তবে, মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের সংখ্যায় পাকিস্তান তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে ভারতের থেকে।

আকাশ পথের ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের চেয়ে ভারত এগিয়ে রয়েছে। ভারতের কাছে যুদ্ধ বিমান রয়েছে ৫১৩টি আর পাকিস্তানের কাছে ৩২৮টি। যদিও ভারতের কাছে মোট এয়ারক্রাফটের পরিমাণ ২ হাজার ২২৯ টি আর পাকিস্তানের মাত্র ৩৯৯টি।

এছাড়াও ভারতের রয়েছে ৮৯৯টি হেলিকপ্টার এবং ৮০টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের ৩৭৩টি হেলিকপ্টারের সাথে ৫৭টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে।

এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর বহরে রয়েছে ২৯৩টি ‘অ্যাসেট। এর মধ্যে দুটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, ১৩টি ডেস্ট্রয়ার, ১৪টি ফ্রিগেট, ১৮টি সাবমেরিন এবং ১৩৫টি প্যাট্রোলিং ভেসেল রয়েছে। আর পাকিস্তানের নৌবাহিনীর ‘অ্যাসেটসংখ্যা ১২১টি। তবে দেশটির কোনো এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ও ডেস্ট্রয়ার নেই।

পাকিস্তানের নৌবহরে ৯টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন ও ৬৯টি প্যাট্রোলিং ভেসেল রয়েছে। এই সংখ্যায় স্পষ্ট যে নৌ বহরের ক্ষেত্রেও ভারতের চেয়ে ঢের পিছিয়ে পাকিস্তান।

প্রতিরক্ষাখাতে ব্যয় বেশি কার

সুইডিশ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পাকিস্তানের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে নয় গুণ বেশি ব্যয় করেছে ভারত।

সে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে, ভারত তার প্রতিরক্ষা খাতে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে, যেখানে পাকিস্তান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি বরাদ্দ দিয়েছে।

সৈন্য সংখ্যা বেশি কার

সেনাসংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে ভারত। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের মতে, ভারতের মোট সক্রিয় সৈন্য সাড়ে ১৪ লাখের কিছু বেশি, অন্যদিকে পাকিস্তানের সৈন্য সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখের কিছু বেশি। রিজার্ভ সেনা বা প্যারামিলিটারি বাহিনীর ক্ষেত্রেও এগিয়ে ভারত।

স্থলভাগের শক্তিতে কে এগিয়ে

সেনাসংখ্যার মতো স্থলভাগের শক্তি বিবেচনায়ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ভারত। তবে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি ও মোবাইল রকেট প্রোজেক্টর বা রকেট লঞ্চারের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি সংখ্যা ৬৬২, ভারতের ১০০। পাকিস্তানের মোবাইল রকেট প্রোজেক্টর ৬০০, ভারতের ২৬৪।

অন্যদিকে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের সংখ্যায় এগিয়ে ভারত। ভারতের ট্যাংক সংখ্যা ৪ হাজার ২০১টি, সাঁজোয়া যান ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪টি, টোওড আর্টিলারি বা টেনে নেয়ার কামান ৩ হাজার ৯৭৫টি। পাকিস্তানের ট্যাংক রয়েছে ২ হাজার ৬২৭ টি, সাঁজোয়া যান ১৭ হাজার ৫১৬টি, টোওড আর্টিলারি ২ হাজার ৬২৯ টি।

কার নৌবাহিনী বেশি শক্তিশালী

শুধুমাত্র মাইন ওয়ারফেয়ার ছাড়া নৌবাহিনীর রণতরীর সবদিকেই পাকিস্তানের তুলনায় এগিয়ে ভারত।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনীর মোট ২৯৩টি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে রয়েছে দুটি বিমানবাহী রণতরী, ১৩টি ডেস্ট্রয়ার, ১৪টি ফ্রিগেট, ১৮টি সাবমেরিন, ১৮টি কর্ভেট ও ১৩৫টি টহল জাহাজ।

পাকিস্তানি নৌবাহিনীর মোট ১২১টি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে বিমানবাহী রণতরী ও ডেস্ট্রয়ার নেই। তাদের রয়েছে নয়টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন, নয়টি কর্ভেট, এবং ৬৯টি টহল জাহাজ।

যুদ্ধবিমানে এগিয়ে কে

আকাশপথের শক্তিতেও বর্তমানে ভারত এগিয়ে। ভারতের বিমানবাহিনীর অধীনে রয়েছে ৩১টি স্কোয়াড্রন, যেখানে প্রতিটি স্কোয়াড্রনে ১৭ থেকে ১৮টি যুদ্ধবিমান থাকে। অপরদিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর রয়েছে ১১টি স্কোয়াড্রন।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের কাছে মোট ২ হাজার ২২৯টি বিমান রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের আছে ১ হাজার ৩৯৯টি।

পাকিস্তানের কাছে আছে ৪১৮টি যুদ্ধবিমান- যার মধ্যে ৯০টি বোমারু বিমান। বিপরীতে ভারতের রয়েছে ৬৪৩টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ১৩০টি বোমারু বিমান।

পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে কার্যকর দুটি অস্ত্র হলো—যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা এফ-১৬ এবং চীনের সহায়তায় তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার। জেএফ-১৭ হলো হালকা, সব আবহাওয়ায় দিন-রাত ব্যবহারের উপযোগী যুদ্ধবিমান, যা পাকিস্তানের কামরায় অবস্থিত পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স এবং চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে তৈরি।

গত কয়েক বছরে ভারতের বিমানবাহিনীতে বড় সংযোজন হিসেবে যুক্ত হয়েছে ফ্রান্স থেকে আনা রাফাল যুদ্ধবিমান। এই বিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং আকাশে ১৫০ কি.মি. দূরত্বে এবং আকাশ থেকে ভূমিতে ৩০০ কি.মি দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে সক্ষম।

এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত মিরাজ ২০০০-এর আধুনিক সংস্করণ এবং বর্তমানে ভারতের কাছে ৫১টি মিরাজ ২০০০ বিমান রয়েছে।

যুদ্ধবিমানের বাইরেও ভারতের রয়েছে ২৭০টি পরিবহন বিমান, ৩৫১টি প্রশিক্ষণ বিমান, ৬টি রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার এবং ৯৭৯টি হেলিকপ্টার, যার মধ্যে ৮০টি আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার।

পাকিস্তানের রয়েছে ৬৪টি পরিবহন বিমান, ৫৬৫টি প্রশিক্ষণ বিমান, ৪টি রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার এবং ৪৩০টি হেলিকপ্টার, যার মধ্যে ৫৭টি আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার।

ভারতের সক্রিয় সামরিক বিমানঘাঁটির সংখ্যা ৩১১টি আর পাকিস্তানের ১১৬টি।

পারমাণবিক অস্ত্র বেশি কার

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা এসিএর মতে, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের মধ্যে অন্তত ৪টি স্বল্প পাল্লার ও ২টি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আছে।

এ ছাড়া, ৭ হাজার কিলোমিটার পাল্লার একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রসহ আরও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চলমান।

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা অনুষদের ধারণা, পাকিস্তানের কাছে বর্তমানে প্রায় ১০০-১২০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যেগুলো স্থল ও আকাশ পথে ব্যবহার করা সম্ভব।

তবে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, পাকিস্তানের কাছে মোট ১৬৫ পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ আছে।

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে সুইডিশ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ২০২৪ সালের প্রতিবেদন বলছে পারমাণবিক ওয়ারহেডের দিক থেকে দুটি দেশ প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে।

সে প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে আনুমানিক ১৭২টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, আর পাকিস্তানে আছে আনুমানিক ১৭০টি।

তবে, দুই দেশের কয়টি ওয়ারহেড ঠিক অপারেশনাল বা প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে, তা ঠিক স্পষ্টভাবে জানা যায় না।

এসআইপিআরআই-এর এর মতে, পাকিস্তান মূলত ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, আর ভারত মনোযোগ দিচ্ছে দূরপাল্লার অস্ত্রের দিকে। অর্থাৎ এমন অস্ত্র যা চীনকেও লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।

চীন, যা ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিবেশী এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি, ২০২৪ সালে তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বা ওয়ারহেডের সংখ্যা ২২ শতাংশ বাড়িয়েছে। এখন তাদের মোট ওয়ারহেড সংখ্যা ৪১০ থেকে বেড়ে ৫০০ হয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বেশি কার

ক্ষেপণাস্ত্রের ধরন ও দূরত্ব পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায় সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে।

পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ক্ৰুজ, ট্যাকটিক্যাল ও স্বল্প-মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

ট্যাকটিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্র যেমন হাতাফ-১ ও নাসের ৬০-১০০ কি.মি দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আব্দালি (২০০ কি.মি), গজনবি (৩০০ কি.মি), রা'দ (৩৫০ কি.মি), বাবর (৭০০ কি.মি) ও শাহীন-১ (৭৫০-১০০০ কি.মি)।

মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে গৌরি-১ (১৫০০ কি.মি), গৌরি-২ (২০০০ কি.মি), আবাবিল (২২০০ কি.মি), শাহীন-২ ও শাহীন-৩ (২৫০০-২৭৫০ কি.মি) উল্লেখযোগ্য। আবাবিল ও শাহীন-৩ একসাথে কয়েকটি ওয়ারহেড বহনে এবং শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম ।

ক্যানবেরার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটেজিক ও প্রতিরক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ড. মনসুর আহমদের মতে, আবাবিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র যা একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

অন্যদিকে ভারতের রয়েছে পৃথ্বী সিরিজ (২৫০-৬০০ কি.মি), অগ্নি সিরিজ (১২০০-৮০০০ কি.মি), নির্ভয়া ও ব্রহ্মোস ক্ৰুজ ক্ষেপণাস্ত্র। অগ্নি-৫ একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র যা সাত থেকে আট হাজার কি.মি পাড়ি দিতে সক্ষম।

ভারতের ধনুষ হলো নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। । ভারতের সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য কে-১৫ বা বি-০৫ (সাগরিকা/শৌর্য) ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ প্রায় ৭০০ কি.মি।

ভারতের সুপারসোনিক ক্ৰুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোস পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। ২০২২ সালে একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভুলবশত পাকিস্তানে গিয়ে পড়েছিল।

দুই দেশই বাড়িয়েছে ড্রোনের সংখ্যা

ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই তাদের অস্ত্রাগারে সামরিক ড্রোনের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিদেশ থেকে উন্নত ড্রোন কেনার পাশাপাশি নিজেরাও ড্রোন তৈরি করছে। এসব ড্রোন পাইলট ছাড়া শত্রুর ওপর নজরদারি, গুপ্তচরবৃত্তি ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়।

সামরিক শক্তিতে ভারত পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে থাকলেও পরমাণু শক্তিতে দুদেশ সমানে সমান।

(ঢাকাটাইমস/৫ মে/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পৌনে দুই ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়ল ছাত্রদল, যান চলাচল শুরু
খুলনায় মাদক মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযান দুই কোটি ৮৫ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
দুই মামলায় চিন্ময় দাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা