বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারায়ও থেমে নেই কোনো পক্ষ, উত্তেজনা চলছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনার ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি হলেও থেমে নেই কোনো পক্ষ। এক পক্ষ পৌর এলাকার বাইরে অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করছে। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ আসেননি বাঞ্ছারামপুর। সম্মেলন করা ও তা প্রতিহতে অনড় অবস্থানের কারণে উত্তেজনা চলছে উপজেলায়। বিরোধী পক্ষ পৌর শহরের বাইরে বিক্ষোভ করেছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। পৌর এলাকার কোথাও কেউ যাতে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করতে না পারে এবং জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আজ বুধবার সকালে এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারিত ছিল। সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল। কিন্তু একই স্থানে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনবিরোধী অপর পক্ষ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজনের ঘোষণা দেয়।

জানা গেছে, পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় সেখান থেকে ভেন্যু সরিয়ে উপজেলার অন্য কোথাও সম্মেলন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছে সম্মেলনের পক্ষের অংশ। এনিয়েও উত্তেজনা আছে উপজেলায়। কেননা এক পক্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠান ও অন্য পক্ষ তা প্রতিহতে অনড়।

সম্মেলনের বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীরা বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকায় সড়ক অবরোধ ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

গত সোমবার সম্মেলনের বিরোধী পক্ষ সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক ও রফিক শিকদারের লোকজনের সঙ্গে অপর পক্ষ কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়। বেশ কিছু দোকানপাট ও মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

গত ২৩ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া উপজেলা ও পৌর এবং সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মুনসুর জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/মোআ