ফ্যাসিস্টদের আমলের থেকে এবারের ঈদ আনন্দময় পরিবেশে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলের থেকে এবারের ঈদ আনন্দময় পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে।’
ঈদের দিন সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গত ১৫ বছরের ঈদের সঙ্গে এবারের ঈদের কী পার্থক্য, তা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক পার্থক্য। এবার আমরা মুক্ত পরিবেশে, একটা আনন্দময় পরিবেশে ঈদ পালন করছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের এ দিনে আমরা আশা করব, যে যেই দায়িত্ব নিয়েছেন সেই দায়িত্বে সবাই সফল হবেন এবং বিশেষ করে অন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের কাছে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবেন। আমরা দলের পক্ষ থেকেও অবশ্যই সেই প্রতিশ্রুতি পালন করব বলে শপথ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে প্রত্যেক বাংলাদেশি যেন আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সে দোয়া করছি আল্লাহর কাছে। দোয়া চেয়েছি আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এবং আমাদের নেতা তারেক রহমানও যেন অতি শিগগির আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান শেরে বাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে এসে তার কবরে ফুল দেন এবং দোয়া করেন।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উ্ন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, আমিনুল হকসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সহাস্রাধিক নেতাকর্মী।
খালেদা জিয়া ও তারেকের ঈদ শুভেচ্ছা
জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পরে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে. চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের (গণমাধ্যম) সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা পুরো দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, ঈদ মোবারক।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এসেছিলাম। আমরা পরম করুনাময় আল্লাহতালার কাছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি। আমরা একই সঙ্গে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি।’
‘একই সঙ্গে বিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোতে যারা প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন তাদেরও আত্মর মাগফেরাত কামনা করেছি। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা এদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি এবং গণতন্ত্রের জন্য বিগত ১৫ বছর ও জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি।’
(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/জেবি/এজে)

মন্তব্য করুন