ইসরায়েল আইয়্যামে জাহিলিয়াতের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে: ড. রেজাউল

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি হত্যা ও নিধনযজ্ঞ আইয়্যামে জাহিলিয়াতের নির্মমতা ও বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
সোমবার বিকালে ৪টায় রাজধানীর মহাখালী চৌরাস্তায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত আয়োজিত গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যুপরি বিমান হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বর্বরোচিত হামলা বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ পূর্ব বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি মহাখালী ওভারব্রিজ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজার হাতিরঝিল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
ড. রেজাউল করিম বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েলিরা সকল প্রকার আইনকানুন, নীতি- নৈতিকতা ও যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে উপর্যুপরি বিমান হামলার মাধ্যমে পুরো গাজা নগরীতে ধ্বংসের শহর ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। তারা প্রতিনিয়ত মানবতাবিরোধী অপরাধ করে প্রমাণ করেছে ইসরায়েল কোনো রাষ্ট্র নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ ও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। তাদের এ বর্বরতা ও নির্মমতা ইতিহাসের সকল নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। তাই মুসলিম উম্মাহ তাদের এমন হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতাকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বরং মধ্যপ্রাচ্যের দুষ্টক্ষত ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি অবিলম্বে গাজায় ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। অন্যথায় মুসলিম বিশ্ব ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।
তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যা করছে তা কোন যুদ্ধ নয়; বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। তাদের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ বেসামরিক স্থাপনাও। এমনকি হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানও তাদের জিঘাংসা থেকে মুক্ত থাকেনি। তাই সময় এসেছে ইহুদীদের পণ্য বর্জনের। শুধু তাদের পণ্য বর্জন করলেই চলবে না বরং যেখানে ইহুদি দেখা যাবে সেখানেই তাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্মকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ইহুদিবাদীদের সকল ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ না হলে মুসলিম যুবক-যুবতিরা ইসরায়েল অভিমুখে মার্চ করে অবৈধ ইসরায়েলীকে গুঁড়িয়ে দিতে বাধ্য হবে। তিনি দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীকে অস্ত্রসহ যেকোনো ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় কথিত ইসরায়েলিদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মুহিবুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান, সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন