আসন্ন বিপিএলে আম্পায়ারদের ম্যাচ ফি বাড়ছে
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের ১১তম আসর। ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসর দিয়ে তাক লাকিয়ে দেয় আয়োজকরা। ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব পাওয়ার লড়াই, ক্রিকেটারদের নিলাম, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও ছিল বিশ্ব মানের। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে মানে ভাটা পড়ে, রং হারায় বিপিএল।
তবে হারানো জৌলুস ফেরাতে এবারের আসরকে নিয়ে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ম্যাচ পরিচালনা করা আম্পায়ারদেরও ম্যাচ ফি বাড়ানো হচ্ছে। আগের তুলনায় আসন্ন বিপিএলে তাদের ফি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আম্পায়ার্স বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
ইফতেখার আহমেদ মিঠু জানান, ‘বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে তিনি রাজি হন। এ মৌসুম থেকে নতুন ম্যাচ ফি কার্যকর করা হয়েছে।’
বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আম্পায়ারদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে। আগে মাঠের আম্পায়াররা পেতেন ৩০ হাজার টাকা করে, সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি আম্পায়ার যারা থাকবেন তারা পাবেন ৬০০ ডলার করে, যা আগে ছিল ম্যাচপ্রতি ৫০০ ডলার।’
জাতীয় লিগে আগে আম্পায়ারদের ম্যাচ ফি ছিল ৪০ হাজার টাকা। সেটা এখন ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বিপিএলের ম্যাচ ফি বেড়ে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ১২ হাজার টাকা দিয়ে বিপিএল শুরু করেছিলেন আম্পায়াররা। বাড়তে বাড়তে সেটা ৩০ হাজারে উন্নীত হয়েছিল।
বিপিএলের ম্যাচ ফি বাড়লেও বিদেশিদের সঙ্গে বৈষম্য থাকছে। একজন বিদেশি আম্পায়ারকে ৫০০ ডলার ম্যাচ ফি দেওয়া হয়। যাতায়াত, হোটেলে রাখা, দৈনিক ভাতাসহ হাজার ডলার ব্যয় করতে পারলেও দেশিদের মূল্যায়ন করা হয়নি।
আগের বিপিএলে এ নিয়ে বিদ্রোহ করেছিলেন তিন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার-শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত, গাজী সোহেল ও তানভীর আহমেদ। বর্তমান সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর আম্পায়ারদের সঙ্গে বসে ম্যাচ ফি উন্নীত করার ব্যাপারে একমত হন। শুধু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আর বিপিএলেই বাড়েনি। দেশের সব ধরনের ম্যাচে সম্মানী বেড়েছে। ম্যাচ রেফারি এবং স্কোরারদের সম্মানীও বেড়েছে।
আসন্ন বিপিএল ঘিরে বড় পরিসরে পরিকল্পনা সাজিয়েছে বিসিবি। বিপিএলকে ভিন্ন মাত্রা দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও যুক্ত রয়েছেন বলে আগেই জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম। তারই ধারাবাহিকতায় বিদেশি আম্পায়ার, পুরো টুর্নামেন্টে ডিআরএস প্রযুক্তি, আসরের উদ্বোধনীতে বিদেশি ফুটবলার ও হলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আনার পরিকল্পনাও জানা গেছে।
(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন