ঝালকাঠিতে তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৩, ১২:২৫
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন লেগে জাহাজে থাকা পাঁচজন কর্মচারী দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চার জন।
এ ঘটনায় শনিবারই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তাদেরকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে নদীর দক্ষিণ পাড়ের রাজাপুর গ্রামের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আগুনে দগ্ধরা হলেন, কর্মচারী শাকিল (৩৫), ফরিদুল আলম (৫৩), ইকবাল হোসেন (২৭), মাইনুল ইসলাম হৃদয় (২৯)। এ ছাড়া একজন বাবুর্চিও রয়েছেন।
এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ইউনিয়নের বুড়িরচর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নান খানের ছেলে ড্রাইভার আকরাম হোসেন সরোয়ার, বরিশালের বাসিন্দা মাস্টার রুহুল আমিন খান, সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলালসহ জাহাজের আরও এক কর্মী।
দুর্ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুল ইসলাম জানান, নন্দিনি-২ নামের এ জাহাজটি পদ্মা তেলের ডিপোতে তেল খালাস করতে আসে। দুপুরে নদীর অপর পাড়ে নোঙ্গর করা অবস্থায় এতে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। জাহাজে মোট ৯ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে চার জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি আবারও বাড়ছে, কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ
ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, নন্দিনী-২ জাহাজটি প্রায় ১০ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির সামনে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করেছিল। শনিবার বিকালে তেল খালাসে কথা ছিল। তার আগে দুপুরে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
(ঢাকাটাইমস/০২জুলাই/এসএম)