যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন, ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রভাবশালীরা

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৪

ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল), ঢাকা টাইমস
যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন শ্রমিকরা। ছবি- ঢাকা টাইমস

বালু মহলের নামে বাংলা ড্রেজারের মাধ্যমে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর ফসলি জমি কেটে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতেছে বালুখেকোরা। ফলে চরাঞ্চলের ফসলি জমি ভেঙে বিলীন হচ্ছে যমুনার নদী গর্ভে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকাতেও দিন দিন বাড়ছে নদীর গভীরতা।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু (কেপিআই) এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন বঙ্গবন্ধু সেতু  সেতু নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। অভিযানে বাংলা ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দসহ বালু উত্তোলনকারীদের আটক করে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। গত ১৯ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

জানা যায়, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের উঁচু উঁচু অসংখ্য চরের ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় সেতু  (কেপিআই) অংশে বেলুরচর ও চরবিদ্র চাপড়ি এলাকা থেকে বাংলা ড্রেজার ও বাল্কহেড (ভলগেট) ড্রেজার দিয়ে খুব সহজেই বালু উত্তোলন করা যায়। এতে করে নৌকা দিয়ে চর কেটে বালু বিক্রি করছেন বালু প্রভাবশালীরা।

চরাঞ্চলবাসীরা জানান, নৌ-পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে অবাধে প্রভাবশালীরা শ্রমিক দিয়ে বাংলা ড্রেজার ও বাল্কহেডের মাধ্যমে অবাধে বালু উত্তোলন করে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে। লোক দেখানো মাঝে মধ্যে যমুনা নদীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শ্রমিকদের আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে প্রভাবশালীরা।

আরও পড়ুন: পাঁচবিবিতে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ দুজন গ্রেপ্তার

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, সেতু (কেপিআই) এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। ইতোমধ্যে গত ২ দিনে ১০ জনকে আটক করে মামলা এবং ব্যবহৃত বাংলা ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দও করা হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নৌ-পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এসএম)