এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে জড়িত ৮ জলদস্যু সোমালিয়ায় গ্রেপ্তার 

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৭ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

দীর্ঘ ৩১ দিন পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ ও জাহাজটির ২৩ নাবিক। মুক্তিপণ নিয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। তীরে পৌঁছানোর পর সেই জলদস্যু দলের কমপক্ষে আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করে দেশটির স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য পান্টল্যান্ডের পুলিশ। 

রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পান্টল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পান্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে জানিয়েছেন, পূর্ব উপকূল থেকে তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি করা জলদস্যু দলের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযানে জলদস্যুদের কাছে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি তিনি।

আরও পড়ুন: ৩১ দিন পর জিম্মি জাহাজসহ ২৩ নাবিক মুক্ত, বিস্তারিত জানাল মালিকপক্ষ 

এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, সোমালি জলদস্যুরা ৫০ লাখ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ পাওয়ার পর এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। তবে মুক্তিপণ পাওয়ার পরে জলদস্যুদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন: নাবিকদের উদ্ধারে মুক্তিপণের তথ্য সরকারের কাছে নেই: নৌ প্রতিমন্ত্রী 

সেই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পান্টল্যান্ড মেরিন পুলিশ ফোর্স সোমালিয়ার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমর্থনে উপকূলরেখা বরাবর নজরদারি বাড়িয়েছে, যারা দেশে জলদস্যুতা কমাতে সাহায্য করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। এই প্রচেষ্টাগুলো এই অঞ্চলকে আরও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।’

প্রসঙ্গত, সোমালিয়া গত তিন মাসে জলদস্যুতার সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির একাধিক সূত্র অনুসারে এই জলদস্যুরা কুখ্যাত আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল। এরমধ্যে গত ১২ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের এমবি আব্দুল্লাহ নামের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এমআর/কেএম)