বাউফলের নদীভাঙন রক্ষায় ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বাখেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নকে নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ৭৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের একনেকের পঞ্চম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়ন ও বাখেরগঞ্জের দুর্গাপাশা ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী ও বাউফলের এমপি আ.স.ম. ফিরোজের জন্য দোয়া করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার আগে থেকেই প্রতিবছর তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে বাউফলের ধুলিয়া ও নাজিরপুর ইউনিয়ন ও বাখেরগঞ্জের দুর্গাপাশা ইউনিয়ন বিলীন হচ্ছে। ইতোমধ্যে শত শত পরিবার তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাটবাজার, মন্দির, কবরস্থানসহ অনেক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

তাই বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিতে আনার জন্য ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছিল।

এরপর ২০১৯ সালের ১৮ মে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ শামীম, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম. ফিরোজ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মেজর জেনারেল হাফেজ মল্লিক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক খালেকুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ অঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম বাউফলের ধুলিয়া এবং বাখেরগঞ্জের দুর্গাপাশা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেন।

তবে ওই সময় নদী ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে এলাকাবাসীদের আশ্বস্থ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ দেখতে না পেয়ে ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর তেঁতুলিয়া নদীপাড়ে আবারো মানববন্ধন করেছিল এলাকাবাসী।

এসময় এমপি ফিরোজ নদীভাঙন রোধে প্রকল্প প্রণয়নের কথা জানিয়েছিলেন। এরপর তার নিরলস প্রচেষ্টায় নদীভাঙন থেকে শত শত পরিবার ও তাদের যান মালকে রক্ষার জন্য এই টাকা অনুমোদন পায়।

সাংসদ ফিরোজ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও দোয়া জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। বাউফলের ধুলিয়াবাসির দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি তিনি সম্মান দেখিয়েছেন। তাদের যান-মাল রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন।’

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/পিএল)