হাতিয়ায় বিএনপি নেতা শামীমের মোটরসাইকেল শোডাউন

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নোয়াখালীর হাতিয়ায় মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। প্রায় হাজারখানেক মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করায় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার রাস্তায় দেখা দেয় তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সোমবার দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা বিএনপির উদ্দ্যোগে আয়োজিত জনসভার পূর্বে তার নেতৃত্বে এই শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জনগণের দুর্ভোগ হয়- এমন কোনো কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। বিশেষ করে কোনো প্রকার বিলবোর্ড টানানো এবং নেতাদের শোডাউন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দলের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শোডাউন করায় ইতোমধ্যে শোকজ করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনকে। এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর একই অপরাধে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল আমিন বাবুল, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তানভীর উদ্দীন রাজিব এবং নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
হাতিয়ার স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পার্টির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যেখানে মোটরসাইকেল শোডাউনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় একজন নেতা এই ধরণের কাজ কীভাবে করেন? আজকের এই শোডাউনের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের পার্টির সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
হাতিয়ার আরেক বিএনপি নেতা বলেন, হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা না হয়েও নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসনে বিএনপির মনোনয়ন এমপি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে হাতিয়া উপজেলায় জনসভার আয়োজন করেন তিনি। দ্বীপ হাতিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদেরকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে জমায়েত করে উপজেলা শহরে জনসভা করেন তিনি।
ইতোপূর্বে শামীম নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। উনার প্রথম হাতিয়ায় আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়েছে বলেও আমরা শুনেছি।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি কোনো শোডাউন করিনি। কোনো শোডাউনে আমার ছবি নেই। আমি জনসভায় যোগ দিয়েছি। অনেক ইউনিয়ন থেকে নাকি শোডাউন করে এসেছে। পরে শুনেছি। বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।’
(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/জেবি/এজে)

মন্তব্য করুন