৩০ জুন পর্যন্ত রাতের আকাশে গ্রহ-তারাসহ দেখা মিলবে যেসব মহাজাগতিক চমক

রাতের আকাশের গ্রহ তারা দেখতে ভালবাসেন যারা, তাদের জন্য রয়েছে এক মহাজাগতিক উপহার। জুন মাসের রাতের আকাশ যেন হয়ে উঠেছে এক মহাজাগতিক প্রদর্শনী। ভোররাত থেকে ভোর অবধি যারা আকাশপানে চেয়ে থাকেন, তাদের জন্য রয়েছে গ্রহের আনাগোনা, তারার ঝলকানি, উল্কাবৃষ্টি আর পূর্ণিমার চাঁদের মোহময় দৃশ্য। রাজধানীসহ সারা দেশের যেকোনো খোলা জায়গা থেকে এই মহাজাগতিক দৃশ্যগুলো খালি চোখে বা একটি ছোট টেলিস্কোপ দিয়েই উপভোগ করা যাবে।
গ্রহের রাজত্ব
জুন মাসজুড়েই রাতের আকাশে একাধিক গ্রহের চলাফেরা দেখা যাবে। ১২ জুন শুক্র গ্রহ পৌঁছাবে অ্যাপহেলিয়নে—মানে, এটি সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকবে। ২২ জুন চাঁদের সঙ্গে শুক্রের একটি চমৎকার সংযুক্তি দেখা যাবে।
১৯ জুন ভোরে চাঁদ, শনি ও নেপচুনের কাছাকাছি অবস্থান একটি দুর্লভ দৃশ্য তৈরি করবে। একই দিনে চাঁদের সঙ্গে শনির সংযুক্তিও দেখা যাবে। ৩০ জুন ভোরে চাঁদ ও মঙ্গলের কাছাকাছি আসার দৃশ্য উপভোগ করা যাবে।
বৃহস্পতি ২৪ জুন সৌর সংযুক্তিতে থাকবে বলে এই সময় দেখা যাবে না। তবে মাসের শেষ দিকে এর ক্ষীণ উপস্থিতি ধরা পড়তে পারে। মাসের শেষ সপ্তাহে সন্ধ্যার আকাশে দেখা মিলতে পারে বুধ গ্রহেরও। ২৭ জুন চাঁদ ও বুধের সংযুক্তি চোখে পড়তে পারে।
তারার পুঞ্জ ও তারামণ্ডলের ছড়াছড়ি
১১ জুন দেখা যাবে মেসিয়ার ৯২ গ্লোবুলার ক্লাস্টার, যা হারকিউলিস তারামণ্ডলে অবস্থিত। ১৫ ও ১৬ জুন দেখা যাবে এনজিসি ৬৩৮৮ ও ৬৩৯৭ তারকাপুঞ্জ। ১৬ জুন দেখা দেবে এম ৬, যেটি ‘বাটারফ্লাই ক্লাস্টার’ নামে পরিচিত। এটি বৃশ্চিক তারামণ্ডলের প্রজাপতির মতো আকৃতির তারকাপুঞ্জ।
১৮ জুন দেখা যাবে আইসি ৪৬৬৫ তারকাপুঞ্জ, আর ২০ জুন বৃশ্চিক তারামণ্ডলেরই আরেক তারকাপুঞ্জ এম ৭ বা ‘টলেমি ক্লাস্টার’। ২২ জুন ধনু তারামণ্ডলে চোখে পড়বে লেগুন নেবুলা, অর্থাৎ এম ৮।
চন্দ্রের রূপ পরিবর্তন
১১ জুন রাতের চাঁদকে বলা হচ্ছে ‘স্ট্রবেরি মুন’। এদিন পূর্ণিমার চাঁদ কিছুটা বড় ও লালচে কমলা আভাযুক্ত থাকবে। ১৯ জুন চাঁদ প্রবেশ করবে শেষ কোয়ার্টারে। ২৩ জুন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকবে (পেরিজি), আর ২৫ জুন এটি পৌঁছাবে সূর্যের সবচেয়ে কাছে (পেরিহেলিয়ন)। ২৫ জুন থাকবে অমাবস্যা।
(ঢাকাটাইমস/১১ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন